বিএনপিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে, কোন্দল নেই: অধ্যাপক মামুন মাহমুদ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল, “আসুন মিলেমিশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সাম্যের সমাজ গড়ি।”
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা মামলায় নির্যাতিত হয়েও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশে রাজপথে থেকে দেশকে নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।”
বিএনপির এই নেতা দলের ভেতরের প্রতিযোগিতা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। কিন্তু কোন্দল নেই। তারেক রহমানের নেতৃত্বে তার ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরা বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রার্থী যতোই থাকুক কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দিবে তাকেই আমরা বিজয়ী করবো।”
তিনি জানান, ‘২০১৭ সাল থেকে তিনি জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সাধারণ সম্পাদক, সদস্য সচিব এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের প্রতি আনুগত্য এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই মাঠে নামছেন।’ তিনি কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সোনারগাঁ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য ৪ জন প্রার্থী থাকার বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “এটি যেন কোনো কলহ হিসেবে না দেখা হয়। প্রতিযোগিতা দলকে শক্তিশালী করবে, দ্বন্দ্ব নয়। সবাই মিলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব।”
সোনারগাঁয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, শিক্ষার হার ও মান উন্নয়ন, আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, নদী-খাল-বিল রক্ষা এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ—এসবই তার প্রধান অঙ্গীকার।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাংবাদিকতার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, আর গণতন্ত্র রক্ষায় সাংবাদিকরা হচ্ছেন আমাদের বড় শক্তি।”
সভা শেষে তিনি যোগ করেন, “আমি কোনো বলয় গড়তে আসিনি, কাউকে বাদ দিতে আসিনি। সবাই মিলে কাজ করলেই বিজয় আমাদের হবে। আসুন মিলেমিশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সাম্যের সমাজ গড়ি। ধানের শীষে ভোট দিন।”