বিএনপিকে শামীম ওসমান ‘মা কইয়া গো কওয়ার সুযোগ পাইবেন না’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘বীর বাঙ্গালী ঐক্য গড়-বাংলাদেশ রক্ষা করো, স্বাধীনতা বিরোধী দেশী-বিদেশী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘দেশ বাঁচাও; স্লোগানে স্বাধীনতা পক্ষের সকল দেশ প্রেমীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানে এমপি শামীম ওসমানরে ডাকা সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করেছেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে বন্দর উপজেলার সমরক্ষেত্র মাঠে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রশিদের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মৃধার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান।
প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে কোন্দলের নাটক করে বিএনপি নেতাকর্মীরা সময় টিভি ও একাত্তর টিভির সাংবাদিকদের নির্মমভাবে পেটাল। এখনই তারা পেটানো শুরু করে দিয়েছে। সেদিন হকাররা ধাওয়া না দিলে তো মেরেই ফেলত। তাই এদের ছাড় দেয়া যাবে না। যারা এতদিন আমার নেত্রীকে বঙ্গবন্ধুকে গালি দিয়েছেন তারা সাবধান হয়ে যান। ওরা ক্ষমতায় এসে আমাদের বাড়ি হীরা মহলে ওরা হামলা করেছিল। আমরা তো কাউকে আঘাত করিনি। তবে এবার ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে অনেক ভাল ভাল লোক ছিল। অনেক ভাল নেতা ছিল। কিন্তু বিএনপির ভাল লোকদের তারেক লাথি দিয়ে বের করে দিয়েছে। তারেক যেমন লোক তেমনই লোকজনকে সে বেছে নিয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে একজন পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট থাকে। একবার করেছে আওয়ামী লীগ তারপর জাতীয় পার্টি তারপর আবার আওয়ামী লীগ এখন সে বিএনপি। সে ক্ষমতায় থাকাকালীন আমার দলের সতেরো জনকে মেরেছে। সম্পর্কে সে আবার আমার মামুও হয়। আমার শাশুড়ির সাথে পড়ত।
তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্দেশে বলি, যারা রাজনীতি করতে চান করেন, আমাকে গালি দেন, মারতে চান কোন সমস্যা নাই। কিচ্ছু বলবো না যা ইচ্ছা করেন। কিন্তু জাতির পিতা ও তাঁর কণ্যাকে নিয়ে কিছু বললে মা কইয়া গো কওয়ার সুযোগ পাইবেন না, যখন জনগণ নির্দেশ দিবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নভেম্বরে তফসিল হবে। সেদিন তুইও সমান আমিও সমান। তুইও সরকার না, আমিও সরকার না। সেদিন যদি ক্ষমতা থাকে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে আসিস, দরকার হলে কইস বাংলাদেশের যেখানে যাবে, সেখানে যাবো। এবং ওইখানে খেলবো। আমরা খেলবো স্বাধীনতার বিপক্ষের বিরুদ্ধে। আমরা খেলবো সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। ইনশাআল্লাহ আমরা জিতবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল বলেন, আমাদের নেতা শামীম ওসমান ডাক দিয়েছে, অন্যায়, অবিচার,দুঃশাসন ও বিএনপি অত্যাচারের বিপক্ষে। যিনি রাত নেই দিন নেই সব সময় মানুষের পাশে থাকেন। তিনি মানুষের সুখের সাথী না কেবল, দুঃখের সময়ও মানুষের পাশে থাকে। তিনি হলেন আমাদের নেতা শামীম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেন, দেশ নিয়ে আজ গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। জাতীয়-আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশের গতিকে থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় তারা লিপ্ত। নির্বাচন আসন্ন। এসময় অনেকে নির্বাচন করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। ভালো কথা। কিন্তু সবার আগে উচিত, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তির মোকাবেলা করা। ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে নির্বাচনের কথা বাদ দিয়ে ওইসব ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেব লীগের সাবেক সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাকেব মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত কবীর ফাহিম প্রমুখ।