বাসায় বসে লাখ টাকা আয় করাই ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতা: ডিসি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের নির্বাচনের ইশতেহারের দুইটি শব্দ ছিলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। এটি বাংলাদেশকে পাল্টে দিলো মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে। আজ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামের মেয়েরা শুধুমাত্র ইন্টারমিডিয়েট বা ডিগ্রী পাস করে বাসায় বসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আর এটাই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রযুক্তির কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান। এসময় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আমি ২০০৮ সালে হবিগঞ্জে এই সার্ভিসে জয়েন করি। আমরা ডিসি অফিসে দেখলাম কোন ল্যাপটপ নেই। আমার মনে আছে যে একটি কম্পিউটার ছিলো কিন্তু অনেকেই তখন কম্পিউটার চালাতে জানতো না। দু একজন জানতো আর তারাই টাইপিং এর কাজ করতো। আমার মনে আছে তখন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে এলেকশন তার কদিন আগে জয়েন করেছি। তখন নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করা হলো। সেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হবে এই কথা সর্বপ্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তখনকার সভানেত্রী ও আজকের প্রধানমন্ত্রী ইশতেহার ঘোষণা দিলেন। আমরা নিজেরা কনফিউজ ছিলাম যে বাংলাদেশ কিভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে ? কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন হলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলো এবং আমরা যারা নবীন অফিসার তারা নতুন ইনস্ট্রাকশন পেলাম। ওই নির্বাচনে আমরা প্রথম দেখলাম যে, ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী কানেক্ট হলেন যশোরে। মানুষের কাছে একটা স্বপ্ন ছিল। ওনার ছেলে সজীব ওয়াজিদ জয়ের নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ ডিজিটাল যাত্রা শুরু হয়। এরপর ডিসি অফিসের সকল অফিসারের কাছে ল্যাপটপ চলে গেল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়াম্যান চন্দনশীল, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।