বাজারে আসছে শীতকালীন সবজি, তবুও অস্বস্তিতে ক্রেতা
‘কিছুটা কমেছে, হুটহাট কখন বেড়ে যায় ঠিক নাই’
‘বলার কিছু নাই বিষ কিনে দিলে, খেয়ে ফেলতাম’
‘আশা করি এ সরকার সিন্ডিকেট ভেঙে দাম কমাতে পারবে’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নিত্যপণ্য নিয়ে অস্বস্তি কাটছেই না। মাঝেমধ্যে দু-একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বমূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে বেকায়দায় ফেলেছে। চড়া বাজারে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ আর ক্ষোভের শেষ নেই। তবে সবজির বাজারে ভিন্নতা দেখা মিলেছে। হেমন্তের শেষ না হলেও নারায়ণগঞ্জের বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। মৌসুমের আগেই শিম, ফুলকপি, পাতাকপি, মূলাসহ প্রায় সব ধরনের শীতের সবজি বাজারে চলে আসায় গত সপ্তাহের তুলনায় দামও কিছুটা কমেছে। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, মাছ ও মাংস। অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, আদা রসুনের দাম।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দ্বিগু বাবুর বাজার ও কালীর বাজারসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। তবে বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে শাক-সবজির দাম আরো কমবে। এখন অনেক সবজি নতুন নতুন বাজারে আসছে। এতে করে নতুনের চাহিদা অনুযায়ী দামও একটু বাড়তি। তবে আস্তে আস্তে এগুলো কমতে শুরু করেছে।
দ্বিগু বাবুর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি, দেশি আদা ১২০ টাকা ও চায়না আদা ৩০০ টাকা কেজি, রসুন ২২০ কেজি, আলুর দাম ৬০ টাকা কেজি।
তবে শীতের আগমনী শাক-সবজি বাজারে চলে আসায় কিছুটা কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, বাধাকপি ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে কেজিতে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়োর কেজি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা কেজি, সিম ১৫০ টাকা কেজি, করলা ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা।
বাজার করতে আসা এক বেসরকারি চাকরিজীবী জানান, সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আবারে হুটহাট কখন বেড়ে যায় ঠিক নাই। অন্য জিনিসে হাত দেওয়া যায় না। বলার কিছু নাই, যদি ডেট ওভার বিষ পাওয়া যায় কিনে দিতেন, খেয়ে ফেলতাম। তবে আশা করছি এ সরকার সিন্ডিকেট ভেঙে দাম কমাতে পারবে।
ব্যবসায়ী কুদরত মিয়া জানান, পেঁয়াজের সিজন শেষ তাই দাম বাড়ছে। অনেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের দোষ দেন, তবে আমরা দিনের মাল দিনে বিক্রি করি। আজকে ৫ টাকা কমে কিনলে কমেই বিক্রি করি। কাল ৫ টাকা বেশিতে কিনলে ৫ টাকা বেশিতে বিক্রি করি।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮৫ টাকা, সোনালী মুরগি ১০/১৫ টাকার কেজিতে কমে ৩১০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। গরু মাংস কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস কেজি ৯৫০-১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আইড় মাছের কেজি ১০০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১৬০০ টাকা কেজি, ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা কেজি, পুটি ৬০০ টাকা কেজি, টেংরা মাছ ৬০০ টাকা কেজি, মলা ৬০০ টাকা কেজি, কাতলা ৩৫০ টাকা কেচি, পাবদা ৬০০ টাকা কেজি।