বাঘ বুড়া হলেও, থাবা দিলে উঠে দাঁড়াতে পারবেন না: সেলিম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টি সমর্থীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি কোন দলের লোক না, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করতে পেরেছি। আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমি জাতির পিতার আদর্শের একজন কর্মী। আমার বড় ভাই নাসিম ওসমান উনিও জাতীয় পার্টি করতেন। তবে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেলে-পেলে নিয়ে ওইরাতেই তিনি চলে গিয়ে ছিলেন। কোথায় ছিলেন তখন, আজকের নব্য আওয়ামী লীগাররা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর ২২নং ওয়ার্ডস্থ খান বাড়ির মোড় এলাকায় আয়োজিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম ওসমান বলেন,আমি বন্দরকে ভালোবাসি, বন্দরের মানুষকে ভালোবাসি। তাই আমি বলেছি, আমার মৃত্যুর পরে আমার লাশটাও যাতে এই বন্দরেই দাফন করা হয়। আমি যদি একহাজার টাকা কামাই করি, তাহরে সেটাকে তিনটা ভাগ করি। এক ভাগ আমার পরিবারের জন্য রাখি, আরেক ভাগ আমি আমার ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রাখি, আরেকটি ভাগ মানুষের জন্য রাখি। আমাকে আমার আপা এত সম্মান দিয়েছেন, একজন এমপি হয়ে এত সম্মান পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, আসেন আমরা এক সাথে কাজ করি। আমরা আত্মসমালোচনা করলেই বুঝবো, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে কেন নৌকা আনতে পারি নাই। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী কিন্তু আওয়ামী লীগেরই নেতা ছিলো। ওই ওদের রক্ত যাদের মধ্যে আছে, তারাই এখন পর্যন্ত ঘর থেকে বের হন নাই। আমি আহ্বান করছি, বেরিয়ে আসেন। মানুষকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করে।
সেলিম ওসমান বলেন, আমরা সবাই এক সাথে কাজ করবো। বন্দরের উন্নয়ন আমরা করবোই। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বানিয়েই যেনো আমার মৃত্যু হয়। বন্দরকে নারায়ণগঞ্জ থেকে অনেক বেশি সাজাতে পারবো, আমার এই বিশ্বাস আছে। আওয়ামী লীগের কোন লোক ঘরে বসে থাকবেন না, একদিন আপনাদেরও জবাব দিতে হবে। দেশের জন্য কি আপনাদের কোন দায়িত্ব নাই।
তিনি বলেন, এই মুক্তিযোদ্ধার হাত, বড় শক্ত হাত। বাঘ যত বুড়াই হোক না কেন, থাবা দিলে কিন্তু উঠে দাঁড়াতে পারবেন না। লন্ডনি হুকুম শুনতে চান না, তাই অনেকেই কিন্তু বিএনপি থেকে বেড়িয়ে গেছে। আমার এলাকায় যারা বিএনপি করেন, তারা অন্তত আমার এলাকায় শান্তিতে বসবাস করেন। আপনারা আমাকে দাওয়াত করেন, নির্বাচন করার জন্য। এমন কোন মায়ের ছেলে নাই যে লন্ডন থেকে বসে আপনার ক্ষতি করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা মালা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মৃধা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব কামাল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান, বন্দর উপজেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ প্রমুখ।