বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে আইসিউতে আছে: মোহাম্মদ হাতেম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেমন, ইউরোপও একই ভাবে পোশাকের দাম কমাচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা দাম কমানোর চেষ্টা করে। সুতার মানের ক্ষেত্রে তারা ঠিকই দামটা বাড়ায় দিচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকের প্রাপ্য কারখানার প্রাপ্যের জায়গায় তারা শুধু দাম কমানোর চেষ্টা করে। আমি মনে করি, আগামী ১ বছরের মধ্যে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, প্রথম হচ্ছে ব্যংকের ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি; দ্বিতীয় হচ্ছে ঋনের কিস্তি পরিশোধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সার্কুলার দিয়েছে এটা হচ্ছে মরার উপর খারার ঘা।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে আইসিউতে আছে। এমন সময় বিশ্বের বেস্ট প্রেকটিস করার সময় না। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে না আসে তাহলে তাহলে বহু ফ্যাক্টরি আগামী ১ বছরে বন্ধ হবে। একটা মানুষ যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তখন সে কিন্তু সাথে সাথে মরে না। আস্তে আস্তে ধুকে ধুকে মরে। ইন্ডাস্ট্রির একই অবস্থা। পোশাকের দাম যদি না বাড়ায় তাহলে এক দিকে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি যেমন বন্ধ হবে, একই সাথে শ্রমিকরাও বঞ্চিত হবে। আমি যদি ন্যায্য মুল্য না পাই তাহলে আমি শ্রমিককে কোথেকে দিবো। একদিকে তারা শ্রমিকের কথা বলছে, আরেকদিকে তারা দাম বাড়িয়ে দিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, বায়াররা অনেক এথিক্স এর কথা বলে, কিন্তু কেনার সময় এই এথিক্স আর মনে থাকে না। আমি আমার গত অর্ডারে ১ডলার চুয়ান্ন সেন্ট এ (১৮৯ টাকা) কাজটা করেছি। এই বছর তারা বলছে ১ডলার আটচল্লিশ সেন্ট ( ১৮১ টাকা)। কি কারন? কোন কারণ নেই। অথচ সুতার দাম বেড়েছে, শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে, এছাড়া আনুসাঙ্গিক আরও অনেক কিছুর দাম বেড়েছে। আমি হিসাব করে দেখলাম, এসব কিছুর তুলনায় আমাকে আগের বছরের চেয়ে ৬ সেন্ট বেশি দেওয়া উচিত। পরে ১ডলার ৫২ সেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে আমি রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি যদি এখন অর্ডারটা না নেই, তাহলে আমাল ফ্লোর গুলো খালি পরে থাকবে। আমি শ্রমিকের বেতন দিতে পারবো না। এই ক্ষেত্রে লস হলেও আমি অর্ডারটা নিতে বাধ্য হই। তারা এটা ভাবে না যে, আমি আমার শ্রমিকের বেতন দিতে পারবো কিনা, আমার কম্পানি কি টিকিয়ে রাখতে পারবো কিনা।