বহিস্কৃত নেতাদের টিপু ‘সাবধান হোন’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান না থাকলে এ বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। শহীদ জিয়াউর রহমান না থাকলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। শহীদ জিয়াউর রহমান জন্ম না নিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠিত হতো না। খালেদা জিয়ার জন্ম না হলে শেখ হাসিনার আসল চেহারা জনগণ দেখতে পারতো না। তারেখ রহমানের জন্ম না হলে দলের নেতা কর্মীদের ত্যাগ স্বীকার কেউ জানতো না।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর শহরের মিশনপারাস্থ হোসিয়ারী সমিতি প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেই সাথে ২০২২ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালিতে নিহত যুবদল নেতা শাওন প্রধানের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সভায় এড. টিপু বলেন, শুধু একটি কথা বলতে চাই, সুন্দর দেশ গড়ার শহীদ জিয়ার ও খালেদা জিয়ার স্বপ্ন, তারেক রহমানের পরিকল্পনা শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার কখনও ধ্বংস করতে পারে নাই এবং কখনও পারবেও না। শুধু আপনাদের বলবো, আমারে রাজনৈতিক নেতা তারেক রহমান যে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা এখনও ক্ষমতায় আসি নাই। যখন নির্বাচন হবে তখন আমাদের তারেক রহমানের ভোট চেতে যেতে হবে। জনগনের কাছে ধানের শীষে ভোট চাইতে হবে। অতঃপর আপনারা কেউ দখলদারি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত হবেন না।
তিনি বলেন, বহিস্কৃত নেতাদের বলতে চাই, আপনারা সাবধান হোন। এছাড়া সকলের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলতে চাই। আপনারা সাখাওয়াত-টিপুর হাতকে শক্তিশালী করার দরকার নাই। আপনারা মহানগর বিএনপিকে শক্তিশালী করুন এবং অপশক্তিকে ধ্বংস করে দিন। খুনি হাসিনার কোন প্রেতাত্মা থাকবে না। আমরা খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে ২০ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো। আমাদের দেশকে আমার উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।
বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, হাবিবুর রহমান মিঠু, রাশিদা জামাল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়নাসহ সদর, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, কৃষকদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।