বস্তাবন্দী মীমের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সহপাঠীদের মহাসড়ক অবরোধ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁ সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার মীম হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সহপাঠীরা। রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তারা।
শিক্ষার্থীরা প্রথমে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এরপর তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেমে আসে এবং অবরোধ সৃষ্টি করে। প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে সকল প্রকার যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, এতে সাময়িক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি— কলেজ ছাত্রী মীম হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এনে সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, সায়মা আক্তার মীম পাবনা জেলার সুজানগর থানার দয়াল নগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে এবং মোগরাপাড়া আমতলা এলাকার ফিরোজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিখোঁজের চার দিন পর উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক ব্রীজ এলাকা থেকে স্কচটেপে মোড়ানো ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মীমের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের মামা খোকন শেখ সাগর বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ নিহতের স্বামী রায়হানকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন রায়হান নারায়ণগঞ্জ আদালতে এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন জানান, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।