বলা হতো, বিএনপি ও জামায়াত হলো ধর্ম-বিদ্বেষী রাজনৈতিক দল: মামুন মাহমুদ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভায় মামলার ভয়ে বিগত বছরগুলোতে লুকিয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তিনি বলেন, একটি পক্ষ মণ্ডপে হামলার মামলা দিয়ে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করত। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মামুন মাহমুদ বলেন, “আপনারা (হিন্দু সম্প্রদায়) সবসময় কাদের দ্বারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন, তা আপনারা জানেন। কিন্তু সেগুলোর দায় আমাদের ওপর দেওয়া হয়েছে। যখনই দুর্গাপূজা আসত, তখন আমরা ভয়ে লুকিয়ে থাকতাম। এই মনে হয়, মণ্ডপে একটি ঘটনা ঘটিয়ে, একটি পক্ষ আমাদেরকে আসামি করিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। আর বলা হতো, বিএনপি ও জামায়াত হলো ধর্ম-বিদ্বেষী রাজনৈতিক দল।”
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু আপনাদের জমি-জমা-সম্পদ ওরাই দখল করেছে বেশি। কোনো বিএনপি, জামায়াত নেতা আপনাদের জমি দখল করে নাই।”
গত বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, তিনি গত বছর সিদ্ধিরগঞ্জের আটটি পূজামণ্ডপের মধ্যে ছয়টিতে গিয়ে ব্যক্তিগত সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য নতুন কাপড়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেন, “হিন্দু ভাইদের জন্য সকলে মিলে কাজ করে। কিন্তু আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য তো প্রশাসনের এত লোক পাই না। আপনারা অনেক সৌভাগ্যবান। সবাই মিলে কাজ করে এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। কই, আমাদের মসজিদে তো কোনো অনুদান দেয় না।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা এ দেশের নাগরিক, ভোটার, আমিও এ দেশের ভোটার, নাগরিক। কিন্তু আপনারা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন। তারপরেও আপনারা কারও দ্বারা অতি-উৎসাহিত হয়ে এমন কোনো বর্ণনা তৈরি করবেন না যে, আপনাদের ওপর জুলুম বা অন্যায় করা হয়েছে। এসব থেকে বিরত থাকবেন।”
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এই প্রস্তুতি সভায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব নূরে কুতুবুল আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।