বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে: ড. কাজী খলীকুজ্জামান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেছেন, আজকের প্রজন্ম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। এই প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পঁচিশ বছর পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছি। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৮’র নির্বাচন, ৬৬’র ছয়দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণআন্দোলন ও ’৭১র মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার আগেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে স্বাধীনতার যে অর্জন এ অর্জনকে ধূলিস্যাৎ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পশ্চিম দেওভোগ, ভূঁইয়াবাগে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলে বিজয়ের ৫২বছর উপলক্ষে ৩দিন ব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবো। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের এই বাংলাদেশকে শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে হবে। বঙ্গবন্ধু যেই সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন সেই সোনার বাংলাকে গড়ে তুলতে হলে আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরো বেশী করে অনুশীলন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু শিক্ষা নয়, ছাত্রদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। এজন্য তিনি শিক্ষকসহ সকল অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ড. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স, ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বি.আই.বি.এম), দেলোয়ার হোসাইন চুন্নু, সদস্য সচিব, বিদ্যানিকেতন ট্রাস্ট, কাসেম জামাল, সদস্য, বিদ্যানিকেতন ট্রাস্ট, কোষাধ্যক্ষ কৃষ্ণধন সাহা, সহ-সভাপতি আবদুস সালাম, সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহেল, ফয়সল আজিজ তুষার ও প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা।
অনুষ্ঠান শুরুতে বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশন করে। পরে ২০২৩ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রধান অতিথি শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন।