বন্দর জোড়া খুন: মেহেদী হত্যায় মূল আসামিসহ ৯ জন গ্রেপ্তার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দর থানাধীন সিরাজদ্দৌলা মাঠের সামনে গত ২১ জুন রাতে সংঘটিত মেহেদী হাসান হত্যা মামলার মূল আসামিসহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) তারেক আল মেহেদী।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দর রেল-লাইন হাফেজীবাগ ও সালেহনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, বাবু শিকদার এবং সাবেক কাউন্সিলর আবু কায়সার আশা গ্রুপের জাফর-রনিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ জুন, শনিবার রাত আনুমানিক ১০টা ৩৫ মিনিটে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মেহেদী হাসানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় নিহত মেহেদী হাসানের ভাই বাদী হয়ে ২৯ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-৪১, তাং-২৩/০৬/২০২৫ খ্রিঃ) দায়ের করেন।
ঘটনার পরদিন সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তার নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করে।
অভিযানের ফলস্বরূপ, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এজাহারনামীয় ৬ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রনি ও রায়হানকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) তারেক আল মেহেদী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. সোহেল রানার তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) হুমায়ুন কবির, এআই (নিঃ) টিপু সুলতান, এসআই সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (নিঃ) মো. সোহেল মিয়া, এসআই (নিঃ) রুবেল মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স গত ২৭ জুন, শুক্রবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান থানায় অভিযান চালিয়ে মূল আসামি রনি ও রায়হানকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।