শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Led01জেলাজুড়েবন্দর

বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ

#প্রার্থীরা ৬টি নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারবে, বেশি হলে গুড়িয়ে দেব: রিটার্নিং কর্মকর্তা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ পেয়েছেন দোয়াত-কলম মার্কা, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল পেয়েছেন চিংড়ী মাছ মার্কা, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন পেয়েছেন আনারস মার্কা এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান পেয়েছেন হেলিকপ্টার মার্কা।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু পেয়েছেন উড়োজাহাজ মার্কা, মো. আলমগীর হোসেন পেয়েছেন মাইক মার্কা, মোশাঈদ রহমান পেয়েছেন তালা মার্কা ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন টিউবওয়েল মার্কা।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদা আক্তার পেয়েছেন কলস মার্কা ও বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন পেয়েছেন ফুটবল মার্কা।

প্রতীক বরাদ্দ শেষে রিটানিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, প্রার্থীরা যেভাবে প্রতীক চেয়েছেন সেভাবেই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কেননা তাদের পছন্দের প্রতীকের কোন কনফ্লিক্ট হয় নি।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জেলা নির্বাচন অফিসার আকন্দ বলেন, আপনারা নির্বাচনে কি করতে পারবেন আর কি করতে পারবেন না তা নির্বাচনী বিধিমালায় বলা আছে। ৮ মে শুধু বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। তাই আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের কর্মকর্তা দ্বিগুণ পরিমাণে মাঠে রাখবো। কাউকে সামান্য ছাড় দিব না।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন নারায়ণগঞ্জে বন্দর দিয়ে শুরু। এটা টেস্ট ম্যাচ, আর টেস্ট ম্যাচ আমরা খারাপ খেলবো না। এ নির্বাচন যদি ভালো করতে পারি, এর আদলে অপর ৩ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা করবো। সবার চোখ থাকবে আপনাদের দিকে।

তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অনেকে পোস্টার, ব্যানার লাগিয়েছেন। আবার তা ছিড়ে ফেলাও হয়েছে, এটা করা যাবে না। এছাড়াও অনেক জায়গায় তোরণ লাগানো হয়েছে। তোরণ ব্যবহার করা হবে না, তোরণ হারাম। বন্দরে ৫ টি ইউনিয়ন আছে। ৫টি ইউনিয়নে ১টি করে নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারবেন। উপজেলা হিসেবে ১টি করে করতে পারবেন, মোট ৬ টি নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারবেন। এর বেশি করা হলে গুড়িয়ে দেব।

RSS
Follow by Email