বন্দর উপজেলা নির্বাচন: বাবার থেকে ছেলের সম্পদ বেশি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলেন পদত্যাগ নেওয়া মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও তার ছেলে মাহমুদুল হোসেন। চেয়ারম্যান পদের জন্য বাবা-ছেলে লড়াই করছেন। বয়স ও অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে বাবা মাকসুদ এগিয়ে থাকলেও সম্পদের দিক দিয়ে ছেলে মাহমুদুল এগিয়ে।
ছেলের কাছে নগদ অর্থ আছে ১ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ১৭ টাকা, বাবার কাছে আছে ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ টাকা। নির্বাচন কমিশনে উপজেলা নির্বাচন পরিষদের প্রার্থীদের জমাকৃত হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে জানা যায়, মাকসুদ হোসেনের ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৫ লাখ ২ হাজার ৩১২ টাকা। যাতায়াতের জন্য রয়েছে তার একটি প্রাইভেট করা রয়েছে যার মূল্য ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫০ টাকা। বিবাহের উপহার হিসেবে ২০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে যার আনুসারিক মূল্য ১ লাখ টাকা। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে। স্থাবর সমপইত্ত হিসেবে রয়েছে ১২ শতাংশ অকৃষি জমি ও ২য় তলা বাড়ি। এছাড়া এই প্রার্থীর এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংখ অব বাংলাদেশের নিকট ঋণ রয়েছে ৯০ লাখ ৬৫ হাজার ৯০ টাকা।
এদিকে, ছেলে মাহমুদুলের ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫২ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২০ হাজার ২৮৪ টাকা। বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ প্রার্থীর ২ টি প্রাইভেট কার রয়েছে যার মূল্য ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেই সাথে রয়েছে ৩০ ভরি স্বর্ণ। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২৮.১৯ শতাংশ অকৃষিজ জমি। তবে এ প্রার্থীর সিটি ব্যাংকের নিকট ঋণ ৪০ লাখ টাকা ও ব্যাংক এশিয়ার নিকট ঋণ ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯৫ টাকা।