বন্দরে ১ লাখ ৩১ হাজার ভোটের লড়াইয়ে রশিদ-মাকসুদ-মুকুল
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ৮ মে নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে যাচাই-বাছাই পর্ব শেষে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ টি পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী জেলাজুড়ে আলোচনার ঝড় সৃষ্টি করেছে।
এরা হলেন বন্দর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। বন্দর উপজেলার ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন ভোটারকে কাছে টানার লড়াইয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন এই ৩ প্রার্থী।
ইতোমধ্যেই গণসংযোগ, উঠান বৈঠকের মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন কৌশলে জনসাধারণের কাছে থেকে মন জয় করার চেষ্টা করছেন। পূর্বের সাফল্য তুলে ধরে আগামীর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ভোটারদের নিজের কাছে টানছেন। এতে করে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দিতামূলক হচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বন্দরবাসী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একই পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় নির্বাচন উৎসবমুখর হবে এবং ভোট দিতে ভোটাররাও আগ্রহী হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবছর বন্দর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ৫০০ জন, মহিলা ভোটার ৬৪ হাজার ৬২ জন এবং হিজরা ভোটার ২ জন। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ৫৪ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে যার ৩৫৭ টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি ভোটকেন্দ্রে এক জন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রতিকক্ষে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা অবস্থান করবেন। এছাড়াও ৭১৪ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্রেগুলোতে অবস্থান করবেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন বন্দর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ।
নির্বাচনের আর বেশি দেরী নেই। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৮ মে (বুধবার) সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। কে বন্দরবাসীর মন জয় করতে সক্ষম হবে তা জানা যাবে ভোটের দিন।