মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
Led02আদালতজেলাজুড়েবন্দরসোশ্যাল মিডিয়া

বন্দরে হত্যা মামলার ২০ বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন, ২জন খালাস

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে বন্দর থানায় হত্যা মামলার ২০ বছর পর ১৪জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া এজহার ২জন আসামীকে খালাস দিয়েছে এবং ৪জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছে

রবিবার (২৮ জুলাই) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা’র আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তথ্যটি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. আবদুর রশিদ।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, বন্দর লক্ষণখোলা এলাকার কলিমউদ্দিনে ছেলে মো. মাহাবুব (২৮), আব্দুস সামাদের ছেলে সামসুল হক (২৫), আব্দুল হকের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫), নুরুল হকের ছেলে রানা (৩০), আবদুর সোবহানের ছেলে শহিদ (২৫) ও সালাউদ্দিন ওরফে সেলু(২৮), আব্দুল বাতেনের ছেলে সামু (৩২), কফিল উদ্দিনের ছেলে আ. মজিদ ওরফে মইজ্জা(৩০), মৃত রজব আলীর ছেলে আহাম্মেদ হোসেন (৪০), হবি মিয়ার ছেলে কালু, মাইনউদ্দিনের ছেলে বাহার উদ্দিন (২৮), মৃত মহিউদ্দিন এর ছেলে মিশু (২৮), সিদ্দিক মািয়ার ছেলে আব্দুল কাদের(৩৫), বাবুল (১৯), আফসার উদ্দিনের ছেলে  কবির হোসেন(২৭)।

এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে, দক্ষিন লক্ষন খোলা এলাকার লিটন (২৬),দেউলি চৌড়াস্তা এলাকার মেছের আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (৩০)।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের সহকারী পি পি এড. সুইটি ইয়াসমিন বলেন, শাহিন হত্যায়  মামলায় সুষ্ঠ তদন্তে ১৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার ১৪ আসামীদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। এবং দুই জনকে এ হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ হত্যা মামলা এজহার সূত্রে জানাযায়, ২০০৪ সালে ২ জুলাই লক্ষন খোলাস্থ সোহাগপুর টেক্সটাইল মেইলের বাউন্ডারির ভিতরে জায়গা ড্রেজারে মাধ্যমে বালু ভরট কালে ব্যবসায়িক কোন্দলের জের হিসেবে লক্ষন খোলা এলাকার শাহ্আলম মিয়ার ভাতিজাকে অস্ত্রসস্ত্রসজ্জিত হয়ে তারা ভাতিজাকে এলোপাথালি কোপাইয়া রক্তাত্ত জখম করে পরে স্থানীয় ও আমরা খবর পাইয়া শাহিনকে খাঁনপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার শাহিন কে মৃত ঘোষনা করে। এবং পুলিশ সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিহত শাহিনের চাচা শাহআলম বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷

আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. আবদুর রশিদ জানান, বন্দর থানায় হত্যা মামলায় ‘মামলা নাম্বার বন্দর থানা ২তাং- ১/৭/২০০৪ এর ধারা ৩০২/৩ ‘ ১৬জন আসামির নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ২০ বছর পর ১০জনের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করে বিজ্ঞ আদালত। এই মামলায় লিটন ও আরিফ নামে ২ আনামিকে খালাস দেয়া হয়েছে ও ৪জন আসামি পলাতক রয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

RSS
Follow by Email