রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
জেলাজুড়েবন্দর

বন্দরে যুবতী ধর্ষণের সহয়তাকারি মোখলেছুর গ্রেপ্তার

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দরে যুবতীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে জোর পূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মোখলেছুর রহমান (২২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত মোখলেছুর রহমান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকার জনৈক এমদাদ মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া। সে একই এলাকার এলাকার জনাব আলী মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরর্পদীস্থ কুড়িয়াভিটা ব্রীজের ঢালে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা যুবতী বাদী হয়ে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করে। যার মামলানং- ৩০(২)২৪। ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে ধর্ষক অয়ন ও ধর্ষনের সহয়তাকারি সিফাতসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় ভুক্তভোগী নারী ও তার ১৩ বছরের চাচাতো ভাই সিয়াম বন্দর উপজেলার নরপর্দীস্থ জনৈক হান্নান মিয়ার দোকানের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে সেখানে উৎপেতে থাকা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপর্দী এলাকার নাহিদ মিয়ার ছেলে সিয়াম উল্লেখিত যুবতী নারীকে পথরোধ করে জোর পূর্বক একটি অজ্ঞাতনামা অটো গাড়িতে করে নরপর্দী স্কুলের সামনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সিফাত ও অয়নসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন মিলে ওই নারীকে জোর পূর্বক ভাবে হাত পা বেঁধে পিরধানের জামা কাপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী নারী গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঘারমোড়াস্থ চাচাতো বোনের বাড়িতে দাওয়াতে আসলে ওই সময় সিফাত ভূক্তভোগী নারী চাচাত বোনের মোবাইল ফোন করে তাকে নরপর্দী ব্রিজের সামনে আসতে বলে। ওই সময় ভূক্তভোগী নারী ব্রিজে আসবে না বলে জানালে এ ঘটনায় সিফাত ক্ষিপ্ত হয়ে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সম্মানের ভয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর থানার কুড়িয়াভিটা ব্রিজের সামনে আসলে ওই সময় সিফাতের সাথে থাকা অয়ন ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিফাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫-৭ জনের সহায়তায় অয়ন ওই নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ) গোলাম মোস্তফা বলেন, মঙ্গলবার রাতে মোখলেছুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

RSS
Follow by Email