বন্দরে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ বাসিন্দারা, দিনের বেলায়ও টানাচ্ছে মশারি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দরে বেড়েছে মশার প্রাদুর্ভাব। ঘরে বাইরে কোথাও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর খোলা জায়গায় এক মিনিটও দাড়াঁনোর উপায় নেই। যেকোনো জায়গায় দাঁড়ালেই মাথার ওপর ঝাঁক বেঁধে উড়তে থাকে মশা। ঘরে, বাইরে, কর্মস্থলে সবখানেই মশায় অতিষ্ঠ বন্দরবাসী।
মশাবাহিত রোগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। তারা বলছেন, সামনে বর্ষা মৌসুমে মশার উৎপাত আরও বাড়বে। মশা নিধনে এখন থেকেই সিটি কর্পোরেশনকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। নতুবা মশার কামড়ে আক্রান্তদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ নানা জটিল রোগে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
বন্দরে বেশ কিছু এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দর এলাকায় সব ওয়ার্ডে মশার উৎপাত বেড়েছে। এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে মশা নেই। বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তুপে মশার বংশ বৃদ্ধির চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষকরে নাসিকের করা ড্রেনে মশার উৎপাত বেশি দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা জানায়, সিটি কর্পোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ও উদ্যোগের কথা বিভিন্ন সময় শোনা গেলেও বাস্তবে কর্মীদের দেখা মেলে না। অনেকে মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বাসা-বাড়ির জানালা ও বারান্দায় নেট লাগিয়েছেন।
এনসিসির ২২নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, মশার যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ঠ, মশাগুলো সাইজে খুব বড়। শরীরে বসে কিছু বুজে উঠার আগেই কামড় দিয়ে চলে যায়। ছেলে মেয়ে মশার যন্ত্রণায় পড়ার টেবিলে বসতেই পারেনা, তাই উপায় না পেয়ে দিনেও মশারি টানিয়ে রাখতে হচ্ছে। আশরাফ মিয়া ও নিজাম উদ্দিন বলেন, কর্মস্থল থেকে শুরু করে বাসা সর্বত্র মশার উপদ্রব বেড়েছে। যেন অস্থির অবস্থা। মশারি, কয়েল কিংবা ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়েও মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আমরা মেয়রের কাছে দাবি জানাই দয়া করে আমাদের মশার যন্ত্রনা থেকে রক্ষা করেন।
এনসিসির ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: এনায়েত হোসেন, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: সুলতান আহম্মেদ ভূইয়া, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: শাহিন মিয়া ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেনশাহ জানান, মশার যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভি আপার সাথে আলাপ করবো মশার ওষুধ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। একই সাথে এডিসের লার্ভা ধ্বংসে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।