বন্দরে ছিনতাই করতে গিয়ে মিশুক চালক হত্যা, ২ আসামির স্বীকারোক্তি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দরে মিশুক চালক জাকির হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে ২ আসামি। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথকভাবে তারা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি প্রদান করে। আসামিরা হলো মো. শাহীন (২১) ও সুমন কুমার সূত্রধর (৩৬)।
জবানবন্দি দেওয়া শাহীন বন্দর উপজেলার একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার আজিজুল হকের ছেলে এবং সুমন কুমার সূত্রধর একরামপুর ইস্পাহানী বাজার এলাকার সালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হরিপদ চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিবপুর এলাকা থেকে শাহীন নামে যুবককে গ্রেপ্তার করে। এরপর শাহীনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর উপজেলার ইস্পাহানী এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত সুমন কুমার সূত্রধরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা দুজনেই মিশুক চালক জাকির হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে প্রাথমিক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে পুলিশ বুধবার দুপুরে তাদের দুজনের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পুলিশকে জানায়, গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ইসপাহানী এলাকা থেকে জাকিরের মিশুকে উঠে তারা। পরে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন মোহনপুর কবরস্থানে এসে তারা জাকিরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এবং লাশ গোপণ করে মিশুক নিয়ে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মিশুক চালক হত্যার ঘটনায় দুই আসামি দায় স্বীকার করেছে। জবানবন্দি লিপিবদ্ধের জন্যে আজ তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন মোহনপুর কবরস্থানের পাশে জমিরধারে জাকিরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে মদনগঞ্জ ফাড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এর আগে অটো চালক জাকির ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় তার স্বজনরা বন্দর থানায় নিখোঁজ ডায়রী করেছিলেন। জাকিরের লাশ উদ্ধারে তার বাবা আলম বাদশা বাদী হয়ে বন্দর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করে।