বক্তাবলীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত বাবু মারা গেছে, আসামী ১৬
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বক্তাবলীতে জমি নিয়ে শালিসে বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত বাবু মারা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল হাসপাতালে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে দু’দিন চিকিৎসাধীন থেকে মৃত্যু বরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মৌসুমী বাদী হয়ে আবদুর রহমান হালিম, আরিফ, আশাদউল্লাহ, রাকিব, আলাল সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১ টায় কানাইনগর বেকারী মোড়ে জমির বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় ভাবে শালিসী বৈঠক বসে মেম্বার সহ মাতুব্বরগণরা। শালিসীর মধ্যে হালিম, আসাদউল্লাহ গংরা উত্তেজনা মূলক কথা বলে। এ নিয়ে সালাউদ্দিন, দাদন গাজী গংরা প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে হালিম, আরিফ, আশাদউল্লাহ গংরা পূর্ব পরিকল্পিত থাকায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাম, চাপাতি, বগি, হকিস্টিক সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ে। হালিম, আরিফ, আশাদউল্লাহ গংদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় সালাউদ্দিন, দাদন গাজী গংরা এক চেটিয়া হামলার শিকার হয়। হালিম, আরিফ, আশাদউল্লাহ গংরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন, দাদন গাজী, মহিউদ্দিন, শরীফ ও বাবুকে এলোপাথারী কোপাতে থাকে এবং লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বাবু, সালাউদ্দিন, দাদন গাজী সহ আরো কয়েকজনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কা হওয়ায় তাদেরকে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বাবু মারা যায়। একই সময় আহত হয় অপর পক্ষের হালিম, আলাল রাকিব সহ আরো দুইজন আহত হয়। তবে হালিম, রাকিব, আশাদউল্লাহ গংদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় বাবু সহ আরো কয়েকজনকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে।
মৌসুমী জানান, হালিম, রাকিব, আশাদউল্লাহ গংরা পরিকল্পিত ভাবে তার ভাই বাবুসহ আরো কয়েকজন রামদা, চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে কোপাতে থাকে। বিশেষ করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপায়। আমার ভাই বাচাও বাচাও চিৎকার করলে হালিম গংদের একটুও মায়া হয়নি, তারা আমার ভাইকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আযম মিয়া জানান, বক্তাবলীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষের বাবু নামের একজন মারা গেছে আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। বাবুকে হত্যা এবং অন্যদের আহত করার ঘটনায় নিহতের বড় বোন মৌসুমী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।