ফ্যাসিস্টের নয়, আমি শিল্পাঞ্চলের দোসর: মোহাম্মদ হাতেম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি ও বিসিক শিল্প মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘কিছু কুচক্রী মহল থাকে, কেউ উপরে উঠতে নিলেই সেই মহল তাকে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা করে। আপনারা দেখেছেন বিগত সাত-আট মাসে এই মহল আমাকে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু আল্লাহ যাকে দিতে চান, তাকে টেনে নিচে নামানোর ক্ষমতা দুনিয়াতে কারো নেই। অনেকে আমাকে ফ্যাসিস্টের দোসর বা বিভিন্ন জনের দোসর বানানোর চেষ্টা করে। আমি কারো দোসর না। আমি এই শিল্পাঞ্চলের দোসর, আমি আপনাদের দোসর। আমি আমার পোশাক শিল্প পরিবারের দোসর। এই একটা কারণে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের আপনি যেখানে যাবেন কেউ না কেউ আমার নামটা আপনার কাছে বলবেই।’
শনিবার (২৪ মে) বিসিক শিল্প মালিক সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সবা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আজকে বিসিকের মালিকদের একটি এজিএম সম্পন্ন হল। এখানে সকল মালিকেরা এসেছেন এবং তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের সকলের বক্তব্যে একটা জিনিস কমন ছিল সেটা হচ্ছে কিশোরগ্যাং। কিশোরগ্যাংরা বিসিকের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের টাকা, মোবাইল হাতিয়ে নিচ্ছে, চাকু মারছে। বিসিকে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপে ঢুকে পড়ছে। এগুলো প্রতিহত করার জন্য আজকের সভায় মালিকপক্ষ আহ্বান জানিয়েছে। আমরা ঘোষণা করেছি প্রতিটি মালিক এই বিষয়ে রাস্তায় নামবে এবং এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রতিহত করবে। অতীতে যেভাবে বিসিককে চাঁদাবাজ মুক্ত রেখেছিলাম এবারও সবাইকে নিয়ে মাঠে নামবো। সন্ত্রাসী, কিশোরগ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকাসক্ত কেউকেই আমরা এই বিসিকে কোন স্থান দিব না। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবে এ বিষয়ে সহায়তা করার জন্য। বিসিকের মত ব্যবসায়িক জমজমাট একটি জায়গায় মাদক ব্যবসা বা ছিনতাই থাকতে পারে না।
মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন , ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সড়কের যে নির্মাণ কাজ চলছে সে নির্মাণ কাজের যত কাদা মাটি সব বিসিকের সড়কের উপর পড়ছে। বিসিকের সড়কগুলো হাটার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আমি অনুরোধ করবো যারা এই রাস্তার নির্মাণ কাজে সংযুক্ত তারা যেন বিষয়টি আমলে নেয়। তাদের জন্য কাদামাটি বা কোন ময়লা বিসিকে যেন এসে না পড়ে। শ্রমিকদের মোবাইল-টাকা ছিন্তাইয়ের বিষয়টি মালিকপক্ষ বিশেষ করে বলেছে। এখানের সড়কগুলো যানজট মুক্ত করায় দাবি ছিল মালিকপক্ষদের।