রবিবার, মার্চ ২৩, ২০২৫
Led05ধর্ম

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জুড়ে বিক্ষোভ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সর্বশেষ মঙ্গলবার থেকে যুদ্ধ বিরতি ভেঙে আবারও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বর ‘স্থল অভিযান’ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্য মতে সে হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৩টি শিশুসহ অন্তত ৪৩৬ জন। ফিলিস্তিনে এ গণহত্যার প্রতিবাদে সমগ্র নারায়ণগঞ্জ জুড়ে করা হচ্ছে বিক্ষোভ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর এ বিক্ষোভে ফেটে পরে নগরবাসী। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জামায়াতে ইসলামী, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে অংশ নিয়ে জণসাধারণ এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিলে পরিপূর্ন থাকে নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলো। ‘আমার ভাই তোমার ভাই, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ট্রাম্পের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘নেতানিয়াহুর কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়ি দাও’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হই, লড়াই করো’, ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগানে মুখরিত হয়েছে নগরী।

এসময় জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘ফিলিস্তিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে তা মানবতার জন্য এক কলংময় অধ্যায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গত দুইদিনে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে যার বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এই দৃশ্য সহ্য করা যায় না। তাই এই হত্যাকান্ড বন্ধ করতেই হবে। সেজন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি ও আরব লীগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রুততার সাথে জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ইউরোপে-আমেরিকায় ও ইজরাইলে কি কোন বিবেকবান মানুষ নাই? মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানগণ কি সব অন্ধ ও বধির? নিস্পাপ শিশুদের এমন নির্মম মৃত্যু ও গণহত্যার পরেও কি ইজরাইলকে থামানোর মতো কেউ নাই বিশ্বে? তাহলে এই সভ্যতা, এতো এতো সংস্থার কি দরকার? যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘণ করে ইজরাইল একতরফা মুসলমানের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। ইজরাইলের এই বর্বরতা সম্মিলিকভাবে রুখে দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতে উগ্রবাদী কসাই মোদির নির্দেশে হোলি উৎসবের নামে নির্বিচারে মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। মুসলমানদের বাড়ী-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করে মোদি সরকার মুসলমানদের রক্তের নেশায় মেতে উঠে। ভারত সরকার যদি মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্যবর্জন এবং প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ভারত তাদের কর্মকান্ডে প্রমাণ করেছে তারা অসভ্য ও বর্বর জাতি।’

RSS
Follow by Email