ফতুল্লা বিএনপি’র সতর্ক বিজ্ঞপ্তি ‘সেন্টু দলের কেউ নন’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বিএনপি’র কেউ নয় দাবি করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল বারী ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এসময় সেন্টুর সাথে দলের কোনো নেতাকর্মীকে যোগাযোগ বা সম্পর্ক না রাখার জন্য ওই বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান করা হয়েছে।
ফতুল্লা থানা বিএনপির প্যাডে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। তিনিও বিএনপির কেউ নন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে গডফাদার শামীম ওসমানের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাওয়ায় বিএনপির হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় বিএনপি তাকে দলের প্রাথমিক পদসহ সকল পদ থেকে বহিস্কার করে। ফলে তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে বা গোপন সম্পর্ক পুরোপুরিভাবে দলের সিদ্ধান্ত ও নীতি নৈতিকা পরিপন্থি।
মনিরুল আলম সেন্টু স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর। বিগত দিনে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার পাশাপাশি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সন্ত্রাসী তাণ্ডব উল্লেখ করে ছাত্র-জনতাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বক্তব্য রাখেন যা ভিডিও আকারে সর্বত্র প্রচারিত।
ফলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহঙ্কার জনাব তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ব্যবহার করার কোনো প্রকার এখতিয়ার তার নেই। তারপরও অদ্য ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে কুতুবপুর ইউনিয়নের মুন্সিবাগ এলাকায় তাকে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি উল্লেখ্য করে প্রধান অতিথি করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। একই সঙ্গে আরও দুঃখজনক এই যে, ওই অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের কিছু বিপদগামী নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন যা দলীয় গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। আমরা এসব নেতাকর্মীদের সতর্ক করার পাশাপাশি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, আওয়ামী লীগের দোসর মনিরুল আলম সেন্টুর সঙ্গে কেউ কোনো প্রকার যোগাযোগ বা সাংগঠনিক সম্পর্ক স্থাপন করবেন না।
অপরদিকে কুতুবপুর বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মনিরুল আলম সেন্টু ভবিষ্যতে যাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহঙ্কার জনাব তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ব্যবহার করতে না পারে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য আপনাদের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’