ফতুল্লা উপ-নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে ‘অটোরিকশা’ প্রতীকে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল ইসলাম, ‘চশমা’ প্রতীকে মো. আমজাদ, ‘মোটর সাইকেল’ প্রতীকে পরেশ চন্দ্র, ‘আনারস’ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম রুবেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সকাল থেকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও দুপুরে ভোটগ্রহণের সময় জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। দুপুর ২টার দিকে কুতুবআইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, জাকির হোসেন নামে মধ্যবয়সী এক ভোটারের স্লিপ হাতে ভোটকক্ষে ঢুকেন এক তরুণ। বাবার নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি যে নাম বলেন তার সঙ্গে ভোটারের বাবার নাম মেলে নি। হাতেনাতে ধরা পরার পর ওই তরুণ নিজের নাম বাকী বিল্লাহ বলে জানায়।
বাকী বিল্লাহ জানান, তিনি এ কেন্দ্রের ভোটার নন। বাইরে থেকে অটোরিকশা প্রতীকে ভোট দিতে তাকে স্লিপ হাতে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। একই কেন্দ্রের আরেকটি ভোটকক্ষে সানাউল্লাহ নামে ৬৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ভোটার স্লিপ নিয়ে আসেন ফাহিম নামের এক যুবক। একই কক্ষে আরও এক ব্যক্তির হাতে থাকা ভোটার স্লিপের তথ্যের সঙ্গে অমিল পাওয়া যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ওই তিন ব্যক্তিকে কেন্দ্র থেকে বের করে করে দিতে দেখা যায়। এসময় ওই কেন্দ্রে অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য তিন প্রার্থীর কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আরিফ বিল্লাহ জানান, সকাল থেকে কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ভোটগ্রহণ চলছে। দুপুরের খাবারের সময় এখন। এই সুযোগে দু-একজন ভুয়া ভোটার কেন্দ্রে ঢুকতে পারেন, কিন্তু এ ব্যাপারে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা আমাকে কিছু জানাননি।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যবরণ করেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন। এতে এ পদটি শুন্য হলে শুন্যপদে ৯ মার্চ উপ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ৩ দশমিক ৬১ বর্গমাইল আয়তনের ১০টি মৌজায় ১১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ফতুল্লা ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৩৩ জন। এছাড়া ও শিল্পসমৃদ্ধ নগরী হিসেবে খ্যাত ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কার্যালয়।