ফতুল্লা ইউপি উপ নির্বাচন: প্রতীক পেছেন প্রার্থীরা, গরম হচ্ছে প্রচারণার মাঠ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার এর তত্ত্বাবধায়নে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ফাইজুল ইসলাম প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন অটোরিক্সা, পরেশ চন্দ্র পেয়েছেন মোটর সাইকেল প্রতীক, সাইফুল ইসলাম রুবেল পেয়েছেন আনারশ প্রতীক ও আমজাদ পেয়েছেন চশমা প্রতীক। এ দিন উৎসবমুখর পরিবেশে এ প্রতীক বরাদ্দ সমপন্ন হয়।
প্রতীক পেয়ে গনমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখী হয়ে ফাইজুল ইসলাম জানান, প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন এর অসমাপ্ত কাজগুলো সমপন্ন করতে চাই। এছাড়াও ফতুল্লার প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এ জনপদের মাদক, সন্ত্রাস ও সমজাতীয় অপরাধ নির্মূলে কাজ করবো। এ ইউনিয়নের সকল মেম্বার ও মহিলা মেম্বারদের নিয়ে সকল এলাকার উন্নয়ন করবো। আমার বিপরীতে যে প্রার্থীরা দাড়িয়েছেন আমি তাদের নিয়ে নির্বাচনি মাঠে থাকতে চাই। যেখানেই দেখা হবে তাদের শ্রদ্ধা জানাবো। তারা যদি জয়ী হয় তাদের জয়ের মালা দিয়ে বরন করে নিবো।
ইতিমধ্যো ফাইজুল ইসলাম তার নির্বাচনি প্রচারনা শুরু করে দিয়েছে। তাকে সকল স্তরের মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে দেখা যাচ্ছে এবং তাকে সবাই গ্রহন করছে। তিনি তার নির্বাচনি মাঠ গোছাতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। তিনি এ নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই লড়াই করছেন। ভোটারদের ভাষ্যমতে, তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থী হওয়ায় এবং অন্যান্য হেভীওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ফাইজুল এর সমর্থনে থাকায় তার জয় অনেকটাই নিশ্চিত।
আরেক প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রুবেল আনারস প্রতীক পেয়েছেন। তিন জানান, গোটা ফতুল্লায় যেখানেই সমস্যা হবে আমার কাছে আসতে হবে না , আমি সেখানেই যাবো। এছাড়াও এ ইউনিয়নের মুখ্য সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসন করা আমার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে। এছাড়াও সবাই বলে রুবেল ভালো ও শিক্ষিত ছেলে এবং পরোপকারি মিশুক তাই তাদের প্রয়োজনে তারা আমাকে তাগিদ দিয়ে নির্বাচনে দাড় করিয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। আমি এ ভোগান্তী লাঘবে কাজ করবো। আরেকটা দাবি দেখি অনেকে তুলছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের জরাজীর্ণ ভবন এর পরিবর্তে অত্যাধুনিক ভবন। আমি নির্বাচিত হলে ইউপির আধুনিক ভবন নির্মাণ করবো।
অপর প্রার্থী পরেশ চন্দ্র তার নির্বাচনি প্রতিক মোটর সাইকেল প্রতীক পেয়েছেন। তিনি জানান, আমি স্থানীয় মসজিদে প্রয়াত চেযারম্যান স্বপন এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়ার ব্যাবস্থা করেছি। এর পর থেকে আমি নির্বাচনি প্রচারনায় নামবো। সরকারি বিভিন্ন অনুদান আসলে মানুষ এর জন্য অপেক্ষায় থেকে দিন পার করে দেয়। আমি নির্বাচিত হলে সকল অনুদান আমি নিজে সকলের কাছে পৌঁছে দিবো। এছাড়াও সন্ত্রাস, মাদক, কিশোরগ্যাং চাঁদাবাজি এসব বন্ধে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিবো। আমি গরিব ঘরের সন্তান। মানুষের কষ্ট বুঝি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগনের সেবা করতে চাই। যেকোনো প্রয়োজনে আমার কাছে যেনো কাউকে আসতে না হয় আমি নিজে ছুটে যাবো। আমি মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে রয়েছি সবসময়। এজন্য এলাকাবাসী আমাকে তাগিদ দিয়েছে চেয়ারম্যান হিসেবে লড়াই করার জন্য।
তিনি আরোও উল্লেখ্য করেন এ ইউনিয়নের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে এবার দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত ফতুল্লার জনগন কাকে নিজেদের সেবক হিসেবে বেছে নেয়।