ফতুল্লায় সেই বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ফতুল্লার কুতুবপুরে হাত-পা বাধা অবস্থায় এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকার লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ সহ নানা উপায়ে উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় জানার চেষ্টা করে। পরিচয় জানায় ব্যর্থ হয়ে ১০ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় আসলে নিহতের পরিবার লাশ শনাক্ত করে। জানা যায়, নিহত ব্যক্তি ঢাকার কদমতলীর শ্যামপুর ব্রীজের জুরাইন এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. রানা (২৮)। এ ঘটনার ৭২ দিন পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১১‘র সিপিসি-১ ও র্যাব-১০‘র সিপিএসসি এর যৌথ অভিযানে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার শ্যামপুর এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি সাব্বির জুরাইন এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। র্যাব-১১ এর অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি সাব্বির এবং ভিকটিম রানা পূর্ব পরিচিত এবং একই এলাকার বাসিন্দা। সাব্বির ও সাব্বিরের ভাই সাজ্জাদ এবং ভিকটিম রানা তাদের নিজেদের মধ্যে টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য আসামি সাব্বিরের বাসায় একত্রে মিলিত হয়। টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাব্বির এবং তার ভাই সাজ্জাদ সুইচ গিয়ার দিয়ে ভিকটিম রানার বুকে আঘাত করলে ভিকটিম রানা মাটিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে আসামিরা ভিকটিম রানার মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরও একাধিক বার ছুরিকাঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে আসামি সাব্বির ও তার ভাই সাজ্জাদ ভিকটিম রানার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে কম্বল মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে ২-৩ দিন সাব্বিরের রুমে লুকিয়ে রাখে। পরে ০৯ ডিসেম্বর ভোরে সাব্বির এবং তার ভাই সাজ্জাদ ফতুল্লা মডেল থানাধীন মুন্সিবাগ এলাকার সিএসআরএম ডেইরী ফার্মের সামনে বস্তাবন্দি লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা রুজু হলে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আসামি সাব্বিরের বিরুদ্ধে ডিএমপি কদমতলী থানায় একটি ছিনতাই এর মামলা চলমান রয়েছে বলে জানায় র্যাব।