ফতুল্লায় পরকীয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন
ফতুল্লা করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লার মুসলিমনগরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। পরকীয়া এবং স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রোজিনা নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক তার স্বামী মানিকের লিঙ্গ কেটে দিয়েছেন। ঘটনার পর স্ত্রী রোজিনা স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার মুসলিমনগর আমেনা মার্কেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় মানিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মানিক মিয়া জামালপুরের হাসেম ফকিরের ছেলে এবং স্ত্রী রোজিনাকে নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
বাড়ির মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানিক ও রোজিনা প্রায় এক মাস আগে ওই বাসায় ভাড়া আসেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে মানিকের লিঙ্গ কেটে ফেলার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে স্ত্রী রোজিনা জানান, তিনি বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন এবং ভালোবেসে মানিককে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন মানিকের বিভিন্ন নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এবং সে কোনো কাজ করত না। রোজিনা নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে মানিকের পছন্দের জিনিস কিনে দিতেন ও খাবার তৈরি করতেন। তবে মানিক ঘরে বসেই অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলতেন এবং প্রায় রাতেই অন্য মহিলাদের বাসায় থাকতেন।
রোজিনা আরও অভিযোগ করেন, ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলার নারীদের সাথে তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। আমি তাকে এত ভালোবাসার পরও যেহেতু আমাকে রেখে তার জিনিসটা এদিক সেদিক ব্যবহার করে, তাই জিনিসটাই কেটে দিলাম। যাতে জিনিস অন্য জায়গায় না যায়। তার জিনিসটা কেটে দিয়েছি, তারপরও তার সাথে আমি সংসার করব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানায়, আমরা এই বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভিকটিম স্বামী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আছেন। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।