ফতুল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামীর চাচাতো ভাই আটক
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ফতুল্লার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার মনিরুল ইসলাম মনুর বাড়ির দ্বিতীয়তলার ফ্ল্যাটে ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) তথ্যটি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করেছে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) শরিফুল ইসলাম।
নিহত গৃহবধূর নাম লামিয়া আক্তার ফিজি (২১)। সে ফতুল্লার দেওভোগ বাশমুলী এলাকার মীর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। তার পরিবারের দাবি, লামিয়া আক্তার ফিজিকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছেন।
পরিবারের দাবি, করোনার সময়ে লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার মনু মোল্লার ছেলে মুন্না মোল্লার সঙ্গে বোনকে বিয়ে দিই। বিয়ের সময় মুন্না তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করেন। বিয়ের পর লামিয়া জানতে পারে তার স্বামীর আরেক স্ত্রী আছে এবং তিনি বেকার। জেনে যাওয়ার পর থেকে কারণে-অকারণে লামিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন মুন্না। স্বামী যেমন নির্যাতন করতেন, তেমনি তার শাশুড়িও নির্যাতন করতেন। এ নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয় সালিস থেকে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। এর মধ্যেই তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান হয়, যার বয়স দুই বছর। সালিস করে লামিয়াকে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে এলে কয়েকদিন ভালো কাটে। এরপর আবার নির্যাতন শুরু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দাগ ছিল। মান-সম্মান আর সন্তানের কথা চিন্তা করে লামিয়া তার স্বামীকে তালাক না দিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন সহ্য করে। শেষ পর্যন্ত বোনটাকে নির্মমভাবে হত্যা করে সপরিবারে পালিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) শরিফুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। নিহতের স্বামীসহ তার পরিবারের সবাই আত্মগোপন করেছে, তবে তাদের বিয়ের প্লানিং করা থেকে সমস্ত কিছু জরিত থাকা স্বামীর চাচাতো ভাইকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।