সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
Led03জেলাজুড়েফতুল্লা

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গায় ট্রলারে বিস্ফোরণ, সিসিটিভি দেখে যা জানা গেল

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী ট্রলার বিস্ফোরণে প্রকৃত কারণ এখনো জানতে পারিন ফায়ার সার্ভিস। তবে, ধারণা করা হচ্ছে ট্রলারের রান্নাঘরের আগুন থেকে ঘটনাটি ঘটতে পারে। ঘটনার সময় ট্রলারটিতে ৫জন কর্মচারি ছিলো। এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ফতুল্লার মেঘনা ডিপোর জেটির পাশেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে, এই ঘটনার সময়কার একটি সিসি-টিভি ফুটেজ এসেছে গণমাধ্যমের হাতে।

ফুটেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, তেল নেওয়া শেষে জেটির পাশেই দাড় করানো ছিলো ট্রলারটি। ঘটনার সময় ট্ররারটির সামনের দিকে কিছু একটা কাজ করছিলেন একজন শ্রমিক। আরেকজন দাড়িয়ে ছিলেন পেছনের দিকে, ট্রলারের উপরে। অন্যান্যরা ঘটনার কিছু সেকেন্ড আগেই ট্রলারের কেবিনের ভেতর ঢুকেন। বিস্ফোরণের সাথে সাথেই ট্রলারের অগ্রভাগে থাকা ব্যাক্তিকে দেখা যায় পানিতে লাফ দিকে। এর একটু পরেই ট্রলারের পেছন দিয়ে পানিতে লাফ দেন আরেকজন। এছাড়া আর কাউকে ট্রলার তেকে বের হতে দেখা যাযনি। এর পর থেকেই বাড়তে থাকে আগুনের শিখা।

জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিকেল ৩টা বাজে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আনলেও, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তা পুনরায় জ্বলে উঠে। পরে রাত ৯টার দিকে আগুন লাগা ট্রলারটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবি দেয় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের সংবাদ পাওয়ার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে।

পুড়ে যাওয়া ট্রলারটির নাম এমভি মনপুরা। এটির মালিক সেলিম। অগ্নিদুর্ঘটনার সময় ওই ট্রলারে মাঝি বাকের, কামাল এবং শ্রমিক ফখরুল, বাবুল মোল্লা ও খোকন ছিলেন। এর মধ্যে মাঝি কামাল অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বাকের অক্ষত আছেন। আর ট্রলারের শ্রমিক ফখরুল, বাবুল মোল্লা ও খোকন নিখোঁজ রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে নৌ-ফাড়ির কাছে হস্তান্তর করেছি। একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে।

এদিকে, উদ্ধারকৃত লাশ অতিরিক্ত পুড়ে যাওয়া এখনো পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন, পাগলা নৌ-ফাড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন। তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, একজন নিখোঁজ রয়েছে, তার খোঁজ পাওয়া গেলে পরিচয় শনাক্ত হতে সুবিধা হবে। এঘটনা আহত আরেক শ্রমিকের বিষয়ে তিনি সঠিক জানেন না।

এর আগে, এক বক্তব্যে মেঘনা ডিপোর উপমহাব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান জানিয়েচিলেন, সকাল সারে ১০টার দিকে তেল নিতে এখানে আসে। দেড়টার দিকে তেল নেওয়া শেষ হলে সবাই পাইপ তুলে নিয়ে লাঞ্চের জন্য চলে যায়। এমন সময় জেটি থেকে ২০-৫০ ফিট দুরে যেতেই ট্রলারে আগুন ধরে যায়। সেখানে লোক ছিলো ৫জন। আমাদের ডিপোতে যথেষ্ট পরিমানে ফায়ার ফাইটিং সামগ্রী আছে, আমরা তৎক্ষনাত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি এবং ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশকে খবর দেই। আমার জানা মতে, একজন নিহত, একজন আহত এবং তিজন নিখোঁজ রয়েছে।

RSS
Follow by Email