প্রেসব্রিফিং এ র্যাব ‘মহাসড়কে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি রোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিতে পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেলেও, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর টহল ও চেকপোস্টের কারণে মহাসড়ক দিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারছেন যাত্রীরা।
রাজধানী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৩৩টি রুটে পূর্বাঞ্চলের ১৮ জেলার মানুষ ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক যাত্রীর নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে র্যাব-১১, জেলা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মহাসড়ক যানজটমুক্ত রয়েছে, যা যাত্রীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ রাখতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে র্যাব-১১ মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই নিবিড় পর্যবেক্ষণ চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে কোনো যানজট নেই, যদিও গাড়ির চাপ একটু বেড়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাত্রা যানজটমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করেন, মহাসড়কে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এই নিরাপত্তা কার্যক্রম শুধুমাত্র ঈদের দিনের জন্য নয়, ঈদ পরবর্তী সময়েও চেকপোস্ট এবং গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও, শহরকেন্দ্রিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতেও গোয়েন্দা নজরদারি ও পেট্রোল ডিউটি চলমান থাকবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
প্রেসব্রিফিং সময়ে র্যাব-১১ এর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।