প্রেসক্লাব-সাংবাদিক ইউনিয়নকে কুক্ষিগত রাখা হয়েছিল: শামীম ওসমান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, এতদিন প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক ইউনিয়নকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছিল কিন্তু এখন তা নেই। ১০ জন এমপি মিলে একটি শহরের যে উন্নয়ন করতে পারে না তা একজন সাংবাদিক করে দেখাতে পারে। জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেস ক্লাব এরা যদি কাজ করে সব ধরনের উন্নয়ন সম্ভব।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধায় জেলার সাংবাদিক ইউনিয়নে (এনইউজে) কার্যালয়ে বাংলাদেশ কল্যান ট্রাষ্ট থেকে প্রাপ্ত অনুদানের চেক বিতরন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি প্রেসক্লাবের সভা করে আসার পর আমার এই ছোট ভাই খুব বাজে একটা মন্তব্য করে এই বিষয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ছেলেটা বিপদে পড়ার সময় আমি তাকে ব্যবসার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। যদিও আমি সেই টাকা চাইনি বা ভবিষ্যতে যাব না। তার মন্তব্যটার পেছনে কে বা কার আছে সেটা আমরা জানি। যখন এটা কথা বলা হয় তখন আমি কষ্ট পাই না কিন্তু আমার কাছের লোকেরা কষ্ট পায়।
এমপি শামীম ওসমান বলেন, বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মাদক নেই। এই মাদকের সাথে সংযুক্ত আছে রাজনীতিবিদ আর প্রশাসন। যে সাংবাদিকরা এই মাদকের সাথে আছেন আমি গ্যারান্টি দিচ্ছে তারা একজন আসলে সাংবাদিক না । সাংবাদিকতার নামে ভাবে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুল নিউজ করছে। এই ধরনের হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ করা উচিত। মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধের লক্ষ্যে আমরা যে প্রত্যাশা সংগঠনটি গড়ে তুলছে সেই সংগঠনটা রাজনৈতিক সংগঠন না। আমার বিশ্বাসের এই সংগঠনটি সফলভাবে কাজ করবে। মাদকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ার কারনের ডিভোর্সের সংখ্যা খুব বাড়ছে । আগে মেয়েরা ছেলেদের ডিভোর্স দিতো এখন ছেলেরা মেয়েদের ডিভোর্স দিচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন ঢাকার বিভিন্ন জায়গা গুলির মধ্যে ফুড পান্ডার মতো বিভিন্ন সংগঠন যারা খাবার ডেলিভার করে তারাই মাদক ডেলিভারি করছে। আজ আমার হার্ট এটাক হলে আমাকে নারায়ণগঞ্জে ভালো কোন হার্ট সেন্টারে নিয়ে যেতে পারবেন না। নারায়ণগঞ্জ থেকে আমরা অনেক টাকা ট্যাক্স দিচ্ছে কিন্তু তার পরও এই নারায়ণগঞ্জের হার্টের ভালো চিকিৎসা নেই।