প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’ মানববন্ধন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিমাঞ্চলে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগের প্রতিবাদে “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী” এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১১টায় কিল্লারপুল বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে তিন শতাধিক ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ অংশ নেন এবং অবিলম্বে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবি জানান।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরউদ্দিন আহমেদ, এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিতাইগঞ্জ, পাইকপাড়া, দেওভোগ, খানপুর, মাসদাইর, জামতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রি-পেইড মিটার বসানোর ফলে গ্রাহকরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এটি একটি জনস্বার্থবিরোধী উদ্যোগ।” তিনি প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কারণে সাধারণ মানুষের আর্থিক ও ব্যবহারিক অসুবিধার কথা তুলে ধরেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশবাদী মানবাধিকার সংগঠন নির্ভীক এর প্রতিষ্ঠাতা এটিএম কামাল বলেন, “প্রি-পেইড মিটার স্থাপন জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ডিপিডিসি (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) এ কার্যক্রম চালিয়ে গেলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
মানববন্ধন শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে ডিপিডিসির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বক্তারা অবিলম্বে এই কার্যক্রম বন্ধের জন্য ডিপিডিসির প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায়, হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মন্টু, সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস আজাদ, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, হাজী রমজান উল রশীদ, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম খান, সহ-সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জাগু, আব্দুল হালিম বেপারী, গোলাম রসুল রফিক, এস এম বাতেন, জাহাঙ্গীর কবির পোকন, সোহরাব হোসেন, হারুন উর রশীদ মিলন, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মো. মহিউদ্দিন মাহামুদ প্রমুখ।
এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা এড. বিএম হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, সহ-সভাপতি আব্দুল সাত্তার ভুট্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. হোসেন জুলু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাজীউদ্দিন আহম্মদ, যুব কল্যাণ সম্পাদক ইমরান শরীফ, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, মো. ইকবাল শেখ, হারুন অর রশীদ, মো. সুজন, মো. জামিল আহমেদ, রেহান শরীফ, জয়নাল ফকির, মোস্তাফিজুর রহমান শিপলু, মোহাম্মদ আলী, খ.ম সুলতান, মো. সুলতান, বিপুল হোসেন শুক্কুর, রিজন, মো. বদু, হাজী মনির, মনির বাদশা, মো. রাব্বী, মো. আলম, ডা. মো. এনায়েত উল্লাহ, আব্দুল সালাম সেলিম, মো. মিরাজ, হাজী রহমত উল্লাহ্, মো. হাসান, মো. আরাফাতসহ তিন শতাধিক ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ।