প্রশাসনের প্রতি সেলিম ওসমান ‘রেস্টুরেন্ট যেন ফুটপাত দখল করে ইফতার বিক্রি না করে’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, রাস্তার পাশে বড় বড় কয়েকটা দোকান আছে, দেখা যায় তারাও রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল করে রাখে। হোয়াইট হাউজ, আলম কেবিন, সুগন্ধা প্লাসসহ বেশ কয়েকটা দোকান রাস্তার পাশে কাবাব বানাচ্ছে বিভিন্ন খাবার বানাচ্ছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ রাখবো, এসমস্ত জিনিস গুলো কখনোই যাতে ফুটপাতে না আসে। এতে মানুষের লোভনীয় করে দেয়া হচ্ছে, অখাদ্য বিক্রি করে রোজার মাসে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হবে। কোন রেস্টুরেন্ট যাতে ফুটপাত দখল করে ইফতার বিক্রি করতে না পারে, এখন থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে সাথে আলাপকালে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যারা হকার বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি, তারা সঠিক ভাবে কাজ করতে পারছি না। তাদের কাছে আমরা প্রস্তাবনা আশা করি, তারা আমাদের প্রস্তাবনা দিলে আমরা কাজ করবো। যখন আমরা প্রেস ক্লাবে বসেছিলাম, তখনই আমরা বলেছিলাম যে, সামনে রোজা, ইদ এগুলা বললে আর আমরা নরম হবো না। এতে আমাদের মানুষ কষ্ট পাবে। তারা (হকার) যদি আমাদের কাছে তালিকা দেয় তাহলে আমরা চিন্তা ভাবনা করবো। কিন্তু রোজা, ইদ দেখিয়ে বিকাল ৫টা থেকে বসবো বা অন্য সময় বসবো। তাদের এমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনযোগ্য হবে না। সিদ্ধান্ত আমরা দিবো তারা প্রস্তাবনা দিতে পারে। প্রস্তাবনার মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের বা রাজউক এর ৩০ শতাংশ একটা যায়গা। যেখানে ৬৭২ জনের একটা জায়গা করে দেয়া হয়েছিলো তাদের মার্কেট হিসেবে। কিন্তু তারা সেই জায়গা বিক্রি করে দিয়েছে, আমি নিজে গিয়ে সেখানে তদন্ত করেছি। সেখানে গিয়ে দেখি সেলুন, গোডাউন ছাড়া তেমন কোন দোকান নাই। হকাররা সেই দোকান গুলো ৮ খেকে ১০লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। তাদের পূর্ণবাসন করলে যদি তারা এই বেনিফিট পেয়ে যায় এবং আমার নারায়ণগঞ্জে মানুষকে কষ্ট দিয়ে যদি বার বার পূর্ণবাসনের কথা বলে, সেটা তো হয় না। আমরা চিন্তু করবো হলিডে মার্কেট বানানো যায় কিনা। কিন্তু কোন অবস্থায় এটা চলবে না। কিন্তু তোন অবস্থায় চলবে না।
অবৈধ রোড পারমিট ছাড়া বাস চলাচল নিয়ে সেলিম ওসামন বলেন, জেলা প্রশাসক ২ মাসের সময় দিয়েছেন বাস গুলোর কাগজপত্র ঠিক করার জন্য। আমাদের শহরে রিক্সা বেড়ে গেছে। যেখানে ১০ হাজার রিক্সার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, কিন্তু শহরের তার চেয়ে বেশী রিক্সা চলে। অটো রিক্সাগুলো একটা সংখ্যা থাকা দরকার। ইজি বাইক সেটারও সংখ্যা থাকা দরকার আছে। মানুষ এখন নিরাপদে চলাফেরা করছে, রাস্তাঘাট এখন খালি হয়ে গেছে। কিন্তু যানজট যদি থাকে তাহলে সামনে বৃষ্টি আসছে, সেসময় মানুষের অনেক কষ্ট হবে।
হকারদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, বিনয়ের সাথে হকার ভাইদের কাছে অনুরোধ করছি, তোমরা লিস্ট দেও। রোজার মাসে কষ্ট করবা, তাই বলে মানুষকে কষ্টের বিনিময় কষ্ট দিবা সেটা কোন অবস্থায়ই হবে না। তোমাদের লিস্ট দেও, তারপর তোমাদের লিস্ট পেলে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো আসলে তোমাদের নিয়ে কিছু করা যায় কিনা। কি করা যায়, কি করা যাবে সেটা রাইফেল ক্লাবে আমি ইতোমধ্যে বলেছি। নামের লিস্ট ছাড়া আমরা কোন অগ্রগতি করতে পারবো না। আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী নাকি বহিরাগত সেটা দেখবো না। আমরা সিদ্ধান্ত নিবো যে, তাদের জন্য কিছু করা যেতে পারে কিনা। বিশিষ্ঠ নেতাধারী কিছু দালাল আছে যারা, অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার চেষ্টা করছে, যার ফলে বিগত ৫বছরে বার বার তারা আইডী কার্ড দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।