প্রধানমন্ত্রী অনেক দূরদর্শী নেত্রী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১৫ বছর আগে হতদরিদ্রের মিছিল ছিল। সবাই ঢাকা চলে আসতো। এখন কিন্তু দাওয়াত দিয়েও খাওয়ানো যায় না। আমরা যখন ক্ষমতায় আসছি তখন ২৮ পার্সেন্ট ছিল হতদরিদ্রের সংখ্যা। এখন ৫ পার্সেন্ট। ২০৪০ সালে আমরা জিরোতে নিয়ে আসবো এ আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা এগিয়ে যেতে হলে সবার সহযোগিতা লাগবে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিকেএমইএ ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করেন। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন। সকালের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করেন। অন্য ধর্মের প্রতি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অগাধ বিশ্বাস। সবাইকে তিনি আগলে রাখেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে। আমরা সেই জায়গায় রয়েছি। আমাদের অঙ্গীকার ছিল কাউকে গৃহহীন থাকতে দেবো না। আমরা গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছি। কাউকে না খেয়ে মরতে হবে না।তিনি বলেন, কোভিডের সময় প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সহযোগিতা করেছেন। তিনি শুধু আমাদের নেতা নন। তিনি বিশ্বের নন্দিত নেতা। কখনও তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি কখনও তিনি ভ্যাকসিন হিরো। তিনি এদেশের জনগণকে ভালোবাসেন বলেই আমরা এ জায়গায় আসতে পেরেছি। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করি না। কোনো পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জনগণের ভালোবাসা। আবারও নির্বাচন আসবে। সারাদেশেই একটাই আওয়াজ শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক দূরদর্শী নেত্রী। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি যা ওয়াদা করেছিলেন একে একে সব করতেন। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ ২০ বছরে যা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। শূন্য থেকে সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের ধারা বদলে দিয়েছেন। সবকিছু পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এবং যথার্থভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিলেন। তারই কন্যা শেখ হাসিনা আজ দেশ পরিচালনা করছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৈহিত্র আইসিটি সেক্টরকে উপড়ে নিয়ে আসছেন। সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটছে। বিরাট সম্ভাবনার জায়গায় চলে আসছে আইসিটি খাত। এটিই হলো দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই হাসছিলেন। আজ কোথায় নিয়ে গেছে আমাদের দেশকে।
বিকেএমইএ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সাবেক নারী সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, সহ-সভাপতি মো. রাশেদ, গাওহার সিরাজ জামিল, ফজলে শামীম এহসান, অমল পোদ্দার, আকতার হোসেন অপূর্ব উপস্থিত ছিলেন।
সহ-সভাপতি (অর্থ) মোরশেদ সারোয়ার সোহেলসহ ১২০০ ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।