বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Led02জেলাজুড়েসদর

না.গঞ্জে রেস্তোরায় ইফতারের যে আইটেম পাওয়া যাচ্ছে

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আজ পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রোজা। পরিবারের ছোট সদস্যদের বড় আবদার থাকে ইফতারে বাহিরের ভাজাপোড়া আইটেম থাকা। আর সেই আবদার পূরণ করতে প্রথম রোজায় নামি-দামি ইফতারের দোকানগুলোতে ভির জমায় পরিবারের কর্তারা। কেউ কিনছে টিকা বা জালি কাবাব, কেউ কিনছে চিকেন রোল, কেউবা কিনছে হালিম। বিকেল থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। ইফতার কিনতে এসে চড়া দামের অভিযোগ উঠেছে, দাম নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সরেজমিনে নগরীর আনন্দ হোটেল, মনির কেবিন ও ওয়াইট হাউজের মতো নামিদামি রেস্তরায় এমন তথ্য পাওয়া যায়। আছরের নামাজ পরেই এসেছেন দোকানে। কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সাধ্য মতো পছন্দের ইফতারি। এসব দোকানগুরোতে বিক্রি হচ্ছে, বেগুনি প্রতি পিস ১০ টাকা, আলুর চপ ১০ টাকা, পেঁয়াজু ১০ টাকা, সামী কাবাব ৩০ টাকা, জালি কাবাব ৩০ টাকা, টিকা কাবাব ৩০ টাকা, চিকেন স্যান্ডউইচ ৭০ টাকা, স্পেশাল সমুচা ৩০ টাকা, চিকেন ডিম চপ ৩০ টাকা, চিকেন সাসলিক ৯০ টাকা, সবজি চপ ৩০ টাকা, পাকুড়া ৩০ টাকা, চিকেন রোল ৮০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ৭০ টাকা, চিকেন স্টিক ৫০ টাকা, চিকেন বারবিকিউ ৯০ টাকা, চিকেন চাপ ১৬০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ১৫০ টাকা, চিকেন শর্মা ১৫০ টাকা, বাটার নান ৫০ টাকা, চিকেন রেশমি কাবাব (হাফ) ১৫০ টাকা, মটন শিক কাবাব (হাফ) ১৮০ টাকা, চিকেন টিক্কা (হাফ) ২০০ টাকা, মুঘল চাপ (হাফ) ১৭০ টাকা, ছোলা বা বুট (কেজি) ২৪০ টাকা, রেশমি জেলাপি ৩৪০ টাকা, বোম্বাই জিলাপি ৩০০ টাকা, গ্রিল চিকেন ৪৮০ টাকা, শাহী হালিম ছোট ৩৫০ টাকা, মাঝারি ৭০০ টাকা, বড় ৯০০ টাকা, মুরগির রোস্ট ৪৫০, খাসির লেগ রোস্ট ১০০০ টাকায়, বোরহানি (৫০০ মিলি) ১০০, ফিরনি (প্রতি পিস) ৭০ টাকায়।

ইফতার কিনতে আসা আক্রাম হোসেন বলেন, বাসায় আমাদের ইফতারি বানানো হয়। তারপরও আমরা প্রথম রোজায় বাইরে থেকে ইফতার নেই, কারণ এটা আমাদের একটি রেওয়াজ। এ বছর ইফতারের দাম অনেকটা বাড়তি। তবুর পরিবারের আবদার তাই না করতে পারি না।

আরেকজন ক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, বাহিরের ইফতারিতে আলাদা একটা আকর্ষণ আছে। এজন্য প্রথম রোজায় এখান থেকে ইফতার নিতে এসেছি। এখানকার বেগুনী-সমচা বাদেও খাসির লেগ রোস্টের খাবারটির বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। তবে এবার ইফতার পণ্যের দাম অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তারা তো বলেই নিত্য পন্যের দাম বেশি তাই এমন হচ্ছে। আসলে আমরা দোষ দেই ব্যবসায়িদের তারা দোষ দেয় সরকারকে।

আনন্দ হোটেলের ম্যনেজার মুকুল বলেন, এবছর সকল নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বিগত যেকোনো সময়ের থেকে কয়েকগুণ। তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। সামান্য খেসারি ডাল এখন ১৪০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে, তেল আজও প্রতিলিটার সয়াবিন তেল কিনেছি ১৭৫ টাকায়। সামগীক দাম বাড়লে তো কাবারের দাম একটু বাড়াতে হবে।

মনির কেবিনের ম্যনেজার জানান, আছরের নামাজের পর ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে। গতবছরের তুলোনায় এবার ক্রেতার কমদামি আইটেমের দিকে বেশি ঝুকছেন। কারণ গরু ও খাসির মাংসের তৈরি ইফতারি পণ্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। মুরগি ও অন্যান্য ইফতারি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

RSS
Follow by Email