রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
Led02অর্থনীতি

প্যানেল পরিচিত করলো ‘স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম’

# কেউ চাঁদা চাইলে দোকানে বেঁধে রেখে আমাদের খবর দিবেন: মাও. মঈনুদ্দিন
# হোসিয়ারী সমিতিসহ সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আমরা শুরু করব: এড সাখাওয়াত
# না.গঞ্জের ব্যবসায়ীরা কোন পরিবারের কাছে জিম্মি থাকতে চায়না: এড. টিপু
# তারা মনে করেছিল সিলেকশনের মাধ্যমে টিকে যাবে: ফতেহ রেজা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘হোসিয়ারী শিল্পের নতুন দিনের পরিবর্তনের সূচনা চাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে, স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনীত প্যানেলের পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর হৃদমপ্লাজা কমিউনিটি সেন্টারে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম’র সাধারণ গ্রুপের পরিচালক প্রার্থী ও ফতেহ হোসিয়ারী র স্বত্বাধিকারী ফতেহ মোহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে ও এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী মাসুদ রানার সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ইসলামী আন্দোলন মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহসহ নেতৃবৃন্দ।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেন, সৎ যোগ্য প্রার্থীদেরকে বিবেচনা করে বিজয় করবেন, তারা যে কোন প্যানেলের হোক আপনার যাকে খুঁশি তাকে ভোট দিবেন। আমি আশা করছি এই প্যানেল বিজয় হলে আপনাদের উপকারে আসবে। হোসিয়ারী সমিতিতে কোন চাঁদাবাজি হবে না, কেউ যদি চাঁদা চাইতে যায়, তাকে দোকানে বেঁধে রেখে টিপুকে খবর দিবেন কিন্তু চাঁদা দিবেন না। চাঁদা দিয়ে দিয়ে রাজনীতিকে আপনারা নষ্ট করেছেন, চাঁদা না দিয়ে যদি সে দরিদ্র হয় ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না বা অসুস্থ্য তাকে সাহায্য করেন। কিন্তু কাউকে চাঁদা দিবেন না, কেউ জোর খাটালে চাঁদা চাইলে, সন্ত্রাসী করলে তাকে দোকানে বেঁধে রেখে আমাদের খবর দিবেন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক হীনতার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে সুধু হুসিয়ারী সমিতি না নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স, বিকেএমইএ, একটা মসজিদ কমিটি থেকে শুরু করে যে কোন কমিটি বলেন, সকল ক্ষেত্রে একটা দানোবের প্রভাব ১৫ বছর আমরা দেখেছি। ৫ আগস্ট বিজয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র জনতার মূল উদ্দেশ্য হলো এই দেমের গণতন্ত্র লাইন চ্যুত হয়েছে সেই লাইন চ্যুত থেকে গণতন্ত্রের মূল ধারায় ট্রেনকে লাইনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি, যে মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক যে চর্চা রয়েছে সেই চর্চা পূর্ণ প্রতিষ্ঠার জন্য নারায়ণগঞ্জে যতগুলো ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান,  আইনজীবী সমিতি থেকে শুরু করে বিকেএমই, বিজেএমই, হোসিয়ারী সমিতি থেকে সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আমরা শুরু করব। নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ড্যান্ডি হিসাবে পরিচিত, এই প্রাচ্যের ড্যান্ডি হবার পিছনে একটা আবদান রয়েছে এই হোসিয়ারীর, হোসিয়ারী ব্যাবসা এই নারায়ণগঞ্জকে পৃথিবীর বুকে পরিচিত করেছেন। এই হোসিয়ারী শিল্পকে ইতিপূর্বে দংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই হোসিয়ারী সমিতিকে একটি বরিবার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো, ওই সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের কথা ব্যাতিত কোনো হোসিয়ারীর কমিটি হতে পারতো না। তারা ( ওসমান পরিবার) যাকে ইচ্ছে ভোটার বানাত, তারা যাকে মনোনয়ন দিতো তারাই পরিচালক বা অন্যান্য পদে নির্বাচিত হতো। আমরা বলি নাই কাউকে ভোট দিতে, আমরা বলেছি আপনাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রের ভোট দেওয়ার যে মানসিকতা সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, বাংলাদেশ থেকে একটি রাজনৈতিক পরিবার পালিয়ে গেছে, আর নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি সন্ত্রাসী গডফাদার পালিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জে আর নতুন করে কোন গডফাদার, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীর হতে দেয়া যাবে না। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা সবাই এক থাকবে, তারা কোন পরিবারের কাছে জিম্মি থাকতে চায়না। বিগত সময়ে বিকেএমইএ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স, হোসিয়ারী সমিতিসহ ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোতে নির্বাচন হতে দেয়া হয়নি। সোসিয়ারির প্রার্থীরা যখন আমাদের কাছে আসে আমরা বলি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতী নেও, এখানে ইলেকশন হবে সিলেকশন হবে না।

তিনি বলেন, হোসিয়ারী সমিতির মালিক ভাইয়েরা আপনারা আগামী ৩ তারিখে সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব প্রঙ্গণে গিয়ে ভোট দিবেন। কোন গডফাদার, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজকে ভয় পাবেন না। জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আপনাদের পাশে আছে, ছিলো এবং থাকবে।

সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী ফাতেহ মোহাম্মদ রেজার সভাপতির বলেন, হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচন কিন্তু বিগত সরকার অনেক ভয়বিতি দেখিয়েছে, মানুষকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয় নাই। এমনও ঘটনা হয়েছে নমিনেশন কিনতে গেছে তাকে জঙ্গি বলে পুলিশের ভয় দেখিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। বিগত সময় জোর করে নির্বাচন বিমুখ করে রাখা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিক ভাবে কিন্তু এবারও শুরু করেছিলো। তারা মনে করেছিল ভয়ভীতির কারণে নির্বাচনে আসবে না তারা যে কোনোভাবে হোক সিলেকশনের মাধ্যমে টিকে যাবে। নির্বাচিত হতে পরলে সকল সমস্যার  জন্য মার্কেট ভিত্তিক কমিটি হবে এবং আপনাদের কমিটি আপনারাই করবেন। সকল মার্কেটের সকল বিচার শালিস করবেন আমরা আপনাদের সহযোগীতা করব। আপনারা যোগ্যতার ভিত্তিতে কোন ভয়ভীতি ছাড়া পছন্দের ব্যাক্তিকে ভোট দিবেন। যদি কোন ভোটারকে কেউ নুন্যতম ভয়ভীতি দেখায়, তাকে আমরা লাল কার্ড দেখিয়ে ছেড়ে দিবো।

এসয় আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ চৌধুরী, মহানগর মহিলাদল নেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মাসুকুল ইসলাম রাজিব, আওলাদ হোসেন, বাবুল চন্দ্র দাস, লুৎফর রহমান ফকির, সুশান্ত পাল চৌধুরী, আবুল বাসার, নাজমুল হক, দিদার খন্দকার, নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, মোক্তার হোসেন, মনসুম মোল্লা, ফারুক হোসেন, ইবনে মো. আল কাউসার প্রমুখ।

RSS
Follow by Email