পুলিশ পালিয়ে বেড়াচ্ছে, অপরাধ করেছে তাই জণগনকে ভয় পাচ্ছে: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন বলেন, অর্থনীতিতে ধ্বংস করে দিয়েছে, ব্যাংকগুলোকে শূন্য করে রেখেছে। অবৈধভাবে লুটপাত করে কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় তল্লাশি করে কোটি কোটি টাকার বস্তা পাওয়া গেছে। এই টাকা এসেছে ব্যাংক লুট করে জন সাধারণের টাকা মেরে। এভাবে তারা বাংলাদেশকে শূন্য করে দিয়ে গেছে। তারা শুধু নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে, জনগণের কথা ভাবেনি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ,লুটপাট,নৈরাজ্য ও অপকর্মের প্রতিবাদে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি জনসভার আযোজন করে। জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকার দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ভোটার বিহীন নির্বাচন করে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করেছে, এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা রাষ্ট্রের মূল্যবান সংস্থাগুলোকে এক এক করে ধ্বংস করেছে। দেশের মতো এই নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করেছে। কিন্তু এই প্রশাসনের দায়িত্বের জন্য কে মেধাবী সেটা খুঁজে দেখা হয় নাই, আওয়ামী লীগ কবে সেটা খুঁজে দেখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের পরিবারের কেউ কিনা সেটা দেখেই অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আজ যারা প্রশাসনে আছে তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে ঘুষ দিয়ে আছে। দেশের জনগণ ও নিরাপত্তার জন্য যে পুলিশ বাহিনী নিয়োজিত ছিল, সেই পুলিশ বাহিনীকে নিজের বাহিনী বানিয়ে তারা জনগণের উপর গুলি চালিয়েছে। তারা জনগণের রক্ত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে।
গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সম্মুখে দাঁড় করিয়েছে। সর্বশেষ জুলাই আগস্টের আন্দোলনে পুলিশ বাহিনী নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালিয়েছে, এ থেকে শিশুরাও রক্ষা পায়নি। ৫ ই আগস্ট সরকারের সাথে সে পুলিশ বাহিনী ও পরাজিত হয়েছে। আজ সেই পুলিশ মনোবল নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রশাসন চালাতে পারছে না। যে সময়টা পুলিশের সব থেকে বেশি প্রয়োজন নিরাপত্তা বিধান করা তখনোই তারা সে কাজটি পারছে না। অনেক পুলিশ সদস্য আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের যেখানে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেখানে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন। কারণ তারা এমন অপরাধ করেছে যার কারণে তারা জনগণকে ভয় পাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা ভালো ভালো থানার ভারপ্রাপ্তদের ৫০ লক্ষ, এক কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আর সেই ঘুষের টাকাও উসুল করার জন্য তারা অন্যায় ভাবে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে। মিথ্যা ওয়ারেন্টের নাম দিয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে সকাল বেলা আওয়ামী লীগের কর্মী পরিষদের দালালদের দালালদের পাঠিয়েছে। তারা এসে পরিবারকে ভয় দেখিয়েছে টাকা না দিলে পুলিশ ছাড়বে না। এভাবেই আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। সে সময় বিচার বিভাগে গিয়ে সাধারণ মানুষ সাধারণ মর্যাদাটুকু পায়নি। বিচারের জন্য বিচার বিভাগ ছিল প্রহসনের জায়গা। যেখানে মানুষের কষ্ট লাগে হবে সেখানে গিয়ে তারা নির্যাতিত প্রতারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, যে গডফাদার সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিতো, তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কথাটার সাথে যারা সম্পর্ক ছিল তারাও কোটি টাকা উপার্জন করেছে অবৈধভাবে। তারা দাম দিত তার সাথে বলেছিল বিএনপি জামাতকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। জনগণ কেউকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেনি, কেউ কি গ্রেফতার করতে যায়নি। তাহলে কেন স্বৈরাচারের প্রধান শেখ হাসিনা ও তার বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালালেন। আয়না ঘর বানিয়ে সেখানে মানুষকে গুম খুন করেছে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে।