শুক্রবার, মে ৩০, ২০২৫
Led03সদর

পুলিশ কনস্টেবল হত্যার প্রধান আসামি দেওভোগে গ্রেপ্তার

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম থানা এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি, এবং আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার মো. নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে দেওভোগ বাংলাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-১২ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত নুর ইসলাম (৩১) বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপসুখানগড়ী গ্রামের বাসিন্দা। এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের দিকে এক ধাপ এগিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল গভীর রাতে টাঙ্গাইলের বাসাখানপুর এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৭-৮ জনের একটি অজ্ঞাত ডাকাত দল এক গরু ব্যবসায়ীর পিকআপ ভ্যানসহ ছয়টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ডাকাতির পর ডাকাতরা উত্তরবঙ্গ অভিমুখে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাচ্ছিল।

ডাকাতির খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের একাধিক টহল দল ডাকাতদের পিকআপ ভ্যানটি থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাতরা পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পালানোর সময় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে তারা কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন।

আহত অবস্থায় রফিকুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনা সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং পুলিশ সদস্যদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় র‌্যাব এর পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়। ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব ডাকাত দলকে সনাক্ত এবং প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২ এবং র‌্যাব-১১ এর একটি যৌথ দল গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালায়। এই অভিযান চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত নুর ইসলামের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারের ফলে পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘটনা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয়তা এবং পুলিশের উপর তাদের হামলার একটি গুরুতর উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

RSS
Follow by Email