পাগলায় পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে যুবক নিখোঁজের অভিযোগ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক নিখোঁজ
হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে তল্লাশী চালাচ্ছে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের
ডুবুরী দল।
রোববার (৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মুন্সিখোলার বুড়িগঙ্গা এলাকায়
এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটির পর দীর্ঘ ২৪ ঘন্টায় নিখোঁজ যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানার সদস্য বলে দাবি করা হচ্ছে।
নিখোঁজ ব্যক্তি ৩২ বছর বয়সী রিদয় মিয়া। সে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও এলাকার মজিবুর
রহমানের ছেলে। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঈদ পরবর্তীতে শ্বশুর বাড়ি ফতুল্লার শরিফভাগ এলাকায় বেড়াতে এসেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাদ দিয়ে নিখোঁজ রিদয় মিয়ার স্ত্রী বলেন, রিদয় জুরাইন যাওয়ার পথে ৯
জুলাই বিকালে পাগলার মুন্সিখোলা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর বিনা কারণে
অনেক মারধর করেছে। দাবি করে টাকাও। এক পর্যায়ে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে
পাশের বুড়িগঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেয়। মাঝ নদীতে গিয়ে ডুবে যায় রিদয়।
পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে মুঠোফোনে দিপু নামের এক ব্যক্তির সহযোগীতা চেয়েছিল নিখোঁজ
রিদয়।
দিপু বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে রিদয়কে পাইনি। ফোন নাম্বরও বন্ধ পেয়েছি। রিদয় পালিয়ে
যাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা আমাকে আটক করেচালান দিতে চেয়েছিল। মারধরও করেছে।
নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও
হাসনাবাদ নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
হাসনাবাদ নৌ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম ১০ জুলাই বিকালে লাইভ
নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এসি (সহকারী পুলিশ কমিশনার) স্যারের মাধ্যমে রাতে খবর পেয়েছি।
তখন উদ্ধার অভিযানে নামা সম্ভব হয়নি। সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী টিম নিয়ে
তল্লাশী করা হয়েছে। কিন্তু পাওয়া যায়নি। তবে, কি ভাবে নিখোঁজ হয়েছে, তা বলতে পারেনি
এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে কদমতলী থানার ওসি ও ওসি তদন্তের মুঠোফোন নাম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা
হলেও ফোনটি রিসিভ করেনি।