নয়ামাটি হোসিয়ারি কারখানায় অগ্নিকান্ড, ধারণা শর্ট সার্কিট
# বন্ধের দিন না হলে সব গুলো মানুষ মারা যাইতো: ফায়ার সার্ভিস
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীর নয়ামাটিতে পোশাক তৈরী কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে নয়ামাটি শেখ টাওয়ারের মা হোসিয়ারিতে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নয়ামাটি ‘মা হোসিয়ারি’র মালিক মো. গোলাম কিবরিয়া সদূর ঢাকায় বসবাস করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন কাজ করেন কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় একটি ফ্যান চালানো হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে কারখানা বন্ধ করা হলেও ভুল বসত ফ্যান বন্ধ করা হয়নি। এতে করে ওই ফ্যানের কয়েল জ্বলে আগুন ধরার সম্ভাবনাই বেশী বলে জানান তারা। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, হোসিয়ারি এসোসিয়েশন’র পরিচালক মো. মনির হোসেন ও আবুল বাশার বাসেত।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শাহ্জাহান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আমাদের কাছে দুপুর ১টায় মেসেজ আসে নয়ামাটি মন্দিরের পাশে একটি ভবন থেকে আগুনের ধোয়া বের হচ্ছে। আমরা সাথে সাথে মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট চলে আসি ঘটনাস্থলে। আমরা দেখতে পাই নয়ামাটি মন্দিরের পাশে ৬তলা ভবন শেখ টাওয়ারের ৪তলায় মা হোসিয়ারি নামে একটি কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আমরা দেখতে পাই একটি ফ্যান হয়তো চালু ছিলো সেখান থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুণের সুত্রপাত হয়। এতে থান কাপড় ও গেঞ্জির কাপড়ে আগুন ধরে যায়। আমরা প্রায় ২০ মিনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, এই এলাকাটি অতন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ৩০ হাজার লিটারের কোন গাড়ি এখানে ঢুকতে পারে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পানি ছিলো বলে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। এই এলাকাটি বার বার আমরা সতর্ক করেছি। এর আগে রোজার মধ্যেও আমরা এই এলাকায় আগুন নিভিয়েছি। আমরা তখনও সতর্ক করেছি যে, ভবিষ্যতে বড় ধরণের আগুন ধরার সম্ভাবনা আছে। মার্কেট মালিক ও আশে পাশের লোকজনদের বললো আপনারা সচেতন হোন। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের নাম্বার রাখুন। আন্ডারগ্রাউন রির্জাভ কমপক্ষে ২লাখ লিটার পানি মজুত রাখুন। যাতে ফায়ার সার্ভিস আসা মাত্রই পানি দিতে পারবেন।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, আজকের অগ্নিকান্ডে কোন হতাহতের মতো ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবারের দিন মার্কেট গুলো বন্ধ ছিলো। তবুও হোসিয়ারির মার্কেটের সামনের যে গলি গুলো ছিলো সব বন্ধ করে রাখা হইছে। আজ যদি বন্ধের দিন না হইতো তাহলে সব গুলো মানুষ আটকা পড়ে মারা যাইতো। কেউ ইমারজেন্সি বের হয়ে আসবে সেটার কোন সম্ভবনা নেই। এগুলা মূলত মার্কেট কতৃপক্ষের গাফলতি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আমরা এখনো জানতে পানি নাই। মালিকের সাথে কথা বলে তদন্ত করে বলা যাবে।