নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগার দাবা খেলায় চ্যাম্পিয়ন ভারতের সৌরভ
# বাংলাদেশের মানচিত্রের জন্য যে দেশ অবদান রেখেছে সেই দেশের সন্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে: খোকন সাহা
# খেলায় জয়ী হয়েছেন এবং যারা হয়নি তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা: মাহমুদা মালা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হরো নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগার আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা টুর্নামেন্ট-২০২৪। শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম তলায় ওই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও ভারত মিলিয়ে ১৯জন প্লেয়ারের মধ্যে ওই প্রতিযোগীতা হয়ে পাঁচ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের মধ্যে প্রদেশের সৌরভ চৌবে। এ সময় প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা তাঁর হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন।
এর আগে গত ১১ জুন নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগার আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা টুর্নামেন্ট শুরু হয়। চারদিন পর ৬ রান্ডের খেলা শেষে ১৪ জুন ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগার আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা টুর্নামেন্ট ফাইনালে সাড়ে ৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন মনির হোসেন। ৪ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছেন আমির সোহেল এবং মো. সেলিম। পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে গোলাম সরোয়ার। এছাড়া অনুর্ধ-১৮ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মর্তুজা মুলতাবিস।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অতিরিক্ত কর কমিশনার ও নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মর্তুজা শরিফুল ইসলাম রানার সভাপতিত্বে ও আন্তর্জাতিক ফিদে আরবিটার মো. শামীমের সঞ্চালনায় পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা আক্তার মালা, মহানগর তাতী লীগের আহবায়ক চৌধুরী এইচ এম ফারুক শাহেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেন, খেলায় অংশগ্রহণকারী সকল দাবারুদের আমি শুভেচ্ছা জানাই। এটা খেলতে মেধা প্রয়োজন হয়। অনেক চিন্তাশক্তির মাধ্যমে এ খেলায় পান্ডিত্য দেখাতে হয়। বাচ্চাদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য এমন উদ্যোগ আরও নেওয়া দরকার। ভারত থেকে যে ছেলে এসেছে, আমি ওকে অভিনন্দন জানাই। ও যে দেশ থেকে এসেছে, সেই দেশ মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জন্য বিশাল ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে যারা অবদান রেখেছেন, দেশ ও দেশের মানচিত্রের জন্য যে দেশ অবদান রেখেছে সেই দেশের সন্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের সকলের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি আরও বলেন, মাহমুদা মালার বাবা নুরুল ইসলাম অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। উনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন অথচ কোন সার্টিফিকেট নেন নাই। বাংলাদেশে এই সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রবণতা উনার মধ্যে ছিল না। উনার ৪টা সন্তান উচ্চ শিক্ষিত। তারা প্রত্যেকেই পড়াশুনা জানা ব্যক্তি। আমি এ পরিবারের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পরিবারের সবাই আমাকে স্নেহ করে, ছোটরা বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করে। খুব সুন্দর ও শিক্ষিত পরিবার। আমাদের সমাজ শিক্ষিতদের মূল্যায়ন করে না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা আক্তার মালা বলেন, দাবা খেলা খুব ধৈর্যের খেলা। আমি তাদের ধৈর্য দেখে অবাক। যিনি পরিচলনা করছে তারও অবশ্য অনেক ধৈর্য লাগে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলা, কিন্তু আমাদের দেশে কেউ স্পন্সর করে না এই খেলায়। ছোট বেলায় মা-বাবা আমাদের ভাই-বোনদের এভাবেই শিখিয়েছিলেন, নিজে কিছু করো ও মানুষের জন্য কিছু করো। একসময় এগিয়ে ছিলাম, কিন্তু এখন আমার থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে আমার সহদোর মর্তুজা শরিফুল ইসলাম। সে বাচ্চাদের মদ্যে দাবা খেলা, সাংস্কৃতিক চর্চা, কখন কি করতে হয়, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ নানা প্রোগাম নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগারের মাধ্যেমে চর্চা হয়ে থাকে। সংক্ষিপ্ত এইটুকু বলতে চাই। এটা আর্ন্তজাতিক খেলা, দুই বছর আগে আমার মা জীবিত থাকা অবস্থায় এই খেলা অনেক গর্জিয়াস করে করা হয়েছিলো আমার বাবার নামে এই খেলাটি। যারা খেলায় জয়ী হয়েছেন এবং যারা হয়নি তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা। কারণ যারা কিছু পায়নি তাদের ছাড়া চ্যাম্পিয়নের কোন মূল্য থাকতো না।