নিহত জিশানের পরিবারকে সেলিম প্রধানের সহায়তা প্রদান
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কোটা আন্দোলনে নিহত ছাত্র জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জাপান-বাংলাদেশ প্রিন্টিং এন্ড পেপার লিমিটেড। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে রূপগঞ্জের মাসুমাবাদ এলাকায় নিহতের পরিবারের কাছে এ সহোযোগিতা পৌছে দেওয়া হয়।
এসময় জাপান-বাংলাদেশ প্রিন্টিং এন্ড পেপার লি. এর চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, আওয়ামিলীগ সরকার আমাকে বিনা অপরাধে চার বছর জেল খাটিয়েছে। আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাসিয়েছে। আমার পরিবার সেই সময়ে দুঃসহ জীবন পাড় করেছে। আমার সেই সময়ের কথা গুলো মনে হলে এখনো আঁতকে উঠি। তাই আমি যেকোন বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি। গত দশ মাস ধরে আমি একটি যুদ্ধ শুরু করেছি। রুপগঞ্জকে সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু ও মাদকমুক্ত করার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া কষ্টকর। তবে নতুন বাংলাদেশে চাইলে সেটা সম্ভব। আমি সেই চেষ্টাটাই করছি। আমার এ চেষ্টায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের আমি পাশে চাই।
সেলিম প্রধানের ব্যাবসায়িক বন্ধু কো ডাউন (জিনা) বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় আমি ঢাকাতেই ছিলাম। আমি দেখেছি কিভাবে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। কতো ছাত্র-জনতা সেই সময় মারা গেছে। সেই সময়কার ঘটনাগুলো আমাকে অনেক মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। আমি ভিনদেশী না হলে সেই আন্দোলনে অংশ নিতাম। আমার বন্ধু সেলিমের মাধ্যমে জানতে পারি রুপগঞ্জেও অনেকে মারা গেছে এবং আহত হয়েছে। তাই এখানে এসেছি। চেষ্টা করেছি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়াতে। আমার যায়গা থেকে আমি আরো চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে আমি আমার দেশের সরকারের সাথে কথা বলবো। যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে কিছু একটা ব্যবস্থা করার জন্য কুরিয়ার সরকারের কাছে আবেদন জানাবো। আশা করি কিছু একটা ব্যবস্থা হবে।
এ সময় জিসানের বাবা আলমগীর মোল্লা বলেন, আমার ছেলে জিসান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিয়মিত আন্দোলনে ছিলেন। ধনিয়া9 বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর ছাত্র আন্দোলনে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই গত ৩০ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জিসানকে হত্যা করে।