রবিবার, জুলাই ১৩, ২০২৫
Led02রাজনীতি

নির্বাচন তাড়াতাড়ি হলে, দেশের মঙ্গল তাড়াতাড়ি হবে: গিয়াসউদ্দিন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, সর্বশেষ গত তিনবার জনগণ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা এ ভোটাধিকার হরণ করেছিল তারা পালিয়েছে, এখন জনগণ আবার নতুন করে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। এদেশে নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে দেশের মঙ্গল তত তাড়াতাড়ি হবে। নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকার দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার গুলো ধারাবাহিকভাবে করতে থাকবে। আমাদের তারেক রহমান আগেই বুঝেছিলেন, এই স্বৈরাচারের পতন একদিন হবেই, তখন দেশকে সর্বপ্রথম সংস্কার করতে হবে। তাই ২০২৩ সালেই তিনি বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা উপস্থাপন করেছেন। আমরা সর্বপ্রথম দেশে সংস্কার চেয়েছি, ৫ তারিখের পর এখন অনেক আমাদের সাথে সংস্কারের কথা বলছে।

শনিবার (১২ জুলাই) ফতুল্লায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, কাশিপুর ও আলিরটেকের ব্রিজগুলো এই বিভাগের জন্য স্যাংশন ছিল না। আমি নিজে টাকা দিয়ে ব্রিজগুলো এনেছি। এখানে ব্রিজ করার কারণ হলো নদীর এপারের মানুষের যোগাযোগের এক আমুল পরিবর্তন হবে। সেই ব্রিজ এখন বিএনপির অবদানের নীরব সাক্ষী। এ উন্নয়নগুলো হয়তো হয়েছে আমার মাধ্যমে তবে সব বিএনপির অবদান। আপনাদের ভালোবাসার মূল্য বিএনপি দিতে জানে। আগামীতে যদি রাষ্ট্র ক্ষমতা বিএনপি পায় তাহলে এখানে ব্রিজের জন্য আমরা সর্বপ্রথম চেষ্টা করবো। ইতিমধ্যে বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে আমি এই ধরনের প্রস্তাবনা দাখিল করেছি। তবে এই প্রস্তাবনা দাখিল করাই তো কাজ না, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি আমার তরফ থেকে চেষ্টা করব তবে আপনাদের পক্ষ থেকেও দাবি উঠাতে হবে। এছাড়া আমার আরো দাবি রয়েছে যেমন ফতুল্লা একটি শিল্প সমৃদ্ধ এলাকা। এটাকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন করতে চাই। এতে এই এলাকাগুলোর এমন উন্নয়ন করা যাবে, যাতে করে আর পাঁচ-সাত বছর পর নতুন করে কোন ব্রিজ কালভার্ট করার কোন জায়গা পাওয়া না যায়।

সাবেক এই এমপি আরও বলেন, আমাদের যে বরাদ্ধ দেওয়া হয় সে দিয়ে আমরা অনেক কাজে সমাপ্ত করে ফেলেছি। শুধু এই ফতুল্লাই বাকি। সারা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, এই ঢাকা থেকে আমাদের দূরত্ব এক সুতা মাত্র। সুতার একপাশে ঢাকা এক পাশে নারায়ণগঞ্জ। রাজধানীর এত কাছাকাছি থেকেও আমরা কেন উন্নয়ন পাবো না। নারায়ণগঞ্জ থেকে হাজার হাজার বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে আমরা সরকারকে দেই। কিন্তু সেই তুলনায় নারায়ণগঞ্জে তেমন উন্নয়ন নাই। নারায়ণগঞ্জ শিল্প সমৃদ্ধ জায়গা, এখানে গার্মেন্টস গুলোর জন্য মানুষ ট্রেনিং নিতে পারে সেজন্য একটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চেয়েছি। প্রতিটি থানা ইউনিয়ন একটি করে স্টেডিয়াম করতে হবে, কারণ আমাদের ছেলেমেয়েরা মাদক ও মোবাইল ফোনে আসক্ত। তারা আর এখন খেলাধুলার কথা চিন্তা করে না। এর থেকে বাঁচতে হতে হলে প্রতিটি জায়গায় খেলার মাঠ থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জকে সুসংগঠিত করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবগুলো আমাদেরকে দিতে হবে। কারণ সরকারের কোষাগাড়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে অনেক টাকা ট্যাক্স হিসেবে জমা হয়। তাই আমাদের ন্যায় সঙ্গত দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটালাম। তারা কিন্তু নেতাকর্মী ও গোষ্ঠী নিয়ে পালিয়েছে। তারা কিন্তু অনুশোচনায় পালিয়েছে। তারা জানে যে, তারা এতো অপরাধ করেছে তারা দেশে থাকলে শাস্তি হবে। মানুষ তাদেরকে তিরস্কার করবে। এরপর এই অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন হলো। এই সরকারের কাছে আপনার আমাদের দাবি একটাই, যারা দেশের লুটপাত, হত্যা, গুম ও খুন করেছে তাদের সকলের বিচার চাই। বিচার চাই কারণ যদি অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে আগামীতে অন্যরাও আরো বেশি অপরাধ করবে।

স্বৈরাচাররা যে পরিমাণ অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে সেগুলো দেশে ফেরত আনা হোক, এছাড়াও দেশে যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়া হয়েছে সেগুলো সরকার জব্দ করে সরকারি কোষাগারে দেয়া হোক। এলাকায় জনগণের টাকা যেন জনগণের হাতেই যায়।

RSS
Follow by Email