নির্বাচনী এলাকা পুনর্গঠনে গিয়াস ‘আমাদের মতো নেতাদের অসুবিধা হলেও কিছু যায় আসে না’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্গঠন জনকল্যাণের জন্য হলে নেতারা ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করতে প্রস্তুত। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। শুক্রবার (১ আগস্ট) ফতুল্লায় এক চা চক্রে তিনি এসব কথা বলেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, “নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। যখন বিজ্ঞপ্তিটি পাই, তখন আলীরটেক থেকে একটি ফোন আসে, যেখানে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। যদি জনগণের এই পরিবর্তনে সুবিধা হয় এবং তাদের কল্যাণ হয়, তবে আমাদের মতো নেতাদের অসুবিধা হলেও তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা নেতা হতে চাই, এমপি হতে চাই, কিন্তু জনগণ চায় সেবা। যদি জনগণের কল্যাণ হয়, আমরা এটাকে স্বাগত জানাব। আর যদি জনগণের জন্য অকল্যাণ হয়, তবে জনগণ এর বিরুদ্ধে আবেদন বা আপত্তি জানাতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আয়তন, জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারিত হয়। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যা সবসময় একইভাবে বাড়ে না। শিল্প ও বাণিজ্য এলাকাগুলোতে ভোটার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও গ্রামাঞ্চলে তা ঘটে না। এ কারণেই পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনগুলোতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার বেশিরভাগই হয়েছে আমাদের সময়ে।
এসময় ফতুল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।