নিরাপত্তা প্রাধ্যান্য দিয়ে প্রস্তত না.গঞ্জ, আসছেন প্রধানমন্ত্রী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দীর্ঘ ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ শহরে আসছেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সাথে আসবেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক ঝাঁক নেতৃবৃন্দ। তাদের অভ্যর্থনা জানাতে ইতিমধ্যে ব্যপক প্রস্ততি সম্পূর্ণ করেছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন শেখ হাসিনা। তবে, কী বার্তা দিবেন সেটাই আলোচনার অন্যতম বিষয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে ইদানিং এর মধ্যে কয়েকবার এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে, এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে শামীম ওসমানের আসনে আসার। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ফতুল্লার ইসদাইরে অবস্থিত একেএম শাসসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা আড়াইটা বাজে ওই জনসভায় যোগ দিয়ে সন্ধ্যার আগে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। উক্ত জনসভায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানার। যদিও বিষয়টি নিশ্চত নয়।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তাকে। যা নিয়ে বিশেষ ভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি শামীম ওসমান। মুলত তার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী করা হচ্ছে সব রকম প্রস্ততি। নির্বাচনী প্রচারণা বাদ দিয়ে তিনি লেগে পরেছেন প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে আরও সুন্দর করে তুলতে। তার মতে, মাঠটি ছোট হলেও ৫-৭লাখ মানুষের জনসমাগম ঘটবে প্রধানমন্ত্রীর ওই সমাবেশে।
ইতিমধ্যে তার আসনের নেতাকর্মীদের সময় মতো চলে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত ৩১ ডিসেম্বর এক প্রস্ততি সভায় এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার মা (শেখ হাসিনা) আসছে। কোথায় কি লাগে আমাকে বলবেন। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা পরে, আগে আমার নেত্রীর সম্মান। আমি আশা করি সেইদিন সকলেই সেখানে উপস্থিত থাকবেন। জেলা-মহানগরের নেতৃবৃন্দরা থাকবে, আইভী থাকবে; আমরা প্রমান করবো নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। আমি নেত্রীর পাশাপাশি আমার প্রিয় বোন শেখ রেহানা আপাকেও আনার চেষ্টা করছি। উনি এই প্রথমবার হয়তো নারায়ণগঞ্জে আসবেন।’
সমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি আশাবাদী এই সমাবেশটা নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসের সর্বকালের সর্ব বৃহৎ সমাবেশ হবে। আমি সবার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের এখানে অনেক সিনিয়র নেতা কর্মীরা আছেন, তারা না থাকলে আজ আমি শামীম ওসমান হতে পারতাম না। তারা ছাড়া আমার দুই পয়সার দাম নাই। কিন্তু যেহেতু নেত্রী আসছেন, নেত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে মঞ্চে নির্দিষ্ট কিছু লোক ছাড়া অন্য কাউকে উঠাবো না। আমাদের টার্গেট নেত্রী আসবেন, বক্তব্য দিবেন এবং সন্ধ্যার আগে ঢাকায় ফিরবেন।
জানা গেছে, জনসমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। সঞ্চলনার দায়িত্ব এখনো কাউকে না দেওয়া হলেও, শামীম ওসমানই সঞ্চালনা করতে পারেন ওই সমাবেশে।
এদিকে, সমাবেশ সফল করতে ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, সোনারগাঁ ও আড়াইহাজারে চলছে ব্যপক প্রস্ততি। দফায় দফায় বৈঠক করছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুধু ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকেই প্রায় ২লাখের বেশি জনসমাগম নিশ্চিতে কাজ করছে এই অঞ্চিলের নেতাকর্মীরা।