নিবাচনে জয়ী হতে পারবে না বলে পিআর পদ্ধতি চাচ্ছে: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ৫ই আগস্ট হওয়ার পর অনেকগুলো দল এমন ভাবে উৎফুল্ল হয়ে গেল, যেন তারা আগামীকালই ক্ষমতা পেয়ে যাবে। তাদের কথাবার্তা হুমকি-ধামকিতে ঠিক এমনই মনে হয়েছে। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে বিজয় হওয়া সম্ভব নয় বলেই তাই আজ তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। অনেক জায়গা এমন আছে যেখানে তাদের কোন প্রার্থী নেই। সেখানে জনগণের মধ্য থেকে নির্বাচন করে বিজয় লাভ করার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই তারা এখন আনুপাতিক হারে ভোটের কথা বলছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, এটাতো এদেশের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না সেটাও তারা বোঝে। কারণ এদেশের মানুষ জনপ্রতিনিধিকে নিজের পাশে সবসময় পেতে চায়। বাংলার মানুষ একটা মুরগী কেউ মেরে ফেললে তার, মেম্বার, এমপি, কাউন্সিলরের কাছে বিচার নিয়ে যায়। এই পিআর পদ্ধতিতে যদি নির্বাচন হয় তাহলে জনগণ কার কাছে যাবে? তারা পিয়ার পদ্ধতি চাচ্ছে কারণ, ৫আগস্টের পর তারা মনে করেছিলো তারা হয়তো ক্ষমতা চলে যাবে। কিন্তু যখন দেখছে তারা ক্ষমতায় যেতে পারছে না, তখন তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে। এটাই হলো তাদের নতুন ষড়যন্ত্র। ওদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। এ পদ্ধতিতে জনগণ যাকে পাশে পেয়েছে তাকে ভোট দিতে পারেনি। দেখা গেল এ নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের যিনি দায়িত্ব পেয়েছেন তার বাড়ি বরিশাল, খুলনা বা চট্রগ্রাম। মানুষের সুখে- কষ্টে তাকে কিভাবে পাওয়া যাবে। পিআর পদ্ধতি হচ্ছে ইহুদি-খ্রিস্টান রাষ্ট্রের পদ্ধতি।
সাবেক এই এমপি বলেন, ডক্টর ইউনূসকে অনেক সম্মান করি। কিন্তু তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও যদি মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ও অস্থির অবস্থায় থাকে, তাহলে সে কি করে স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারে। সারা দেশের মানুষের মাঝখানে অস্থিরতা ও অশান্তি বিরাজ করছে। সকলের মাঝখানে যে অবিশ্বাস বিরাজ করছে তা আপনার মত একজন সম্মানী ব্যক্তি থাকতে এগুলো কেন হবে। দেশের কল্যাণ কি কাজ করবেন সেটা বড় না, মানুষের এই দুশ্চিন্তা অবিশ্বাস দূর করা আপনার জন্য প্রথম প্রয়োজন। আর এগুলো দূর করার একমাত্র উপায় হলো অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, সাথে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। না হলে মানুষের মনে যে অবিশ্বাসের বীজ হয়েছে সেটি উৎপাদন করে আপনার দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দিতে জানে। আপনারা নির্বাচিত নন, কিন্তু আপনি সম্মানিত বলে আপনাকে সম্মান দিয়ে মেনে নিয়েছি। কিন্তু কতকাল মেনে নেব সেটাও প্রশ্ন রয়ে যায়। এমন সময় দেওয়া যাবে না যেগুলো যুক্তিযুক্ত নয়।
সাবেক এই এমপি আরও বলেন, বিএনপির দেশের সর্ববৃহৎ একটি দল এবং তারক রহমান হচ্ছেন সবথেকে জনপ্রিয় একজন নেতা। এই দলের সদস্য পদে যিনি নাম রাখা হবে, সে সারা বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও একটি গ্রহ দলের আপনি সদস্য বলে ও গৌরব অর্জন করতে পারবেন।
৮ ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ডিএইচ বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসকুল ইসলাম রাজীব, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি জিএম সাদরিল, মোস্তফা কামাল, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস এম আসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি রওশনালি চেয়ারম্যান, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সেলিম মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিস সিকদার, নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি টি এইচ তোফা, মহানগর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাগর প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম মেম্বার, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক , ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাসাস সদস্য সচিব আকাশ প্রধান।