নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে ‘ভুয়া সদস্য’ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
# প্রয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বরণাপন্য হবো: আবু তাহের শামীম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেওএ) আসন্ন (২০২৫-২০২৭) নির্বাচনকে ঘিরে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্যরা বর্তমান কমিটির (২০২৩-২০২৫) বিরুদ্ধে ‘ভুয়া সদস্য’ বানিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ এনেছেন। বুধবার (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ জানান, বর্তমান কমিটি অসংখ্য ‘ভুয়া সদস্য’ তৈরি করেছে, যাদের অনেকেরই কোনো নিটিং প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। অ্যাসোসিয়েশনের সংঘবিধি অনুযায়ী, সদস্য হতে হলে অবশ্যই নিটিং ফ্যাক্টরির মালিক হতে হবে। সাধারণ সদস্যরা অভিযোগ করেন, যাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরি নেই, তারা কীভাবে প্রকৃত মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করবে? এই বিষয়টি প্রকৃত মালিকদের কাছে ‘নিন্দনীয় এবং অপমানজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়।
তারা জানান, ভুয়া সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল করে প্রকৃত প্রতিষ্ঠান ও মালিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তারা ‘স্বাক্ষরসহ আপিল বোর্ডে লিখিত অভিযোগ’ জমা দিয়েছিলেন। তবে আপিল বোর্ড তাদের জানিয়ে দিয়েছে যে, ভুয়া সদস্য বাতিল করার কোনো এখতিয়ার তাদের নেই। আপিল বোর্ডের এমন বক্তব্যে সদস্যরা হতাশা প্রকাশ করেন।
সাধারণ মালিকবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ঘোষিত নির্বাচনে ভুয়া সদস্য বাতিল করে প্রকৃত সদস্যদের দ্বারা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা না হয়, তাহলে সকল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সমস্ত কার্যক্রম বয়কট করবেন। তারা একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন হিসেবে নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠানা সভাপতি আবু তাহের শামীম বলেন, ভূয়া ভোটের প্রচলনটা আসছে ২০২২-২৩ থেকে। যাদের কোন ফ্যাক্টিরি নাই তারা কিভাবে সদস্য পদ পেলো এটা আমরা বর্তমান কমিটির কাছে জবাব চাই। ৭১ জন ভূয়া ভোটার আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি। কারণ এদের দিয়ে যদি নির্বাচন হয় তাহলে আমাদের মালিকদের অপমান হিসেবে গ্রহন করবো। নিটিং মালিকরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে। আমরা চাই নিটিংয়ের প্রকৃত মালিকদের দিয়ে পরিচালত হোক, সে যেই হোক না কেনো। আমরা ভূয়া ভোটের নাম তালিকা আপিল ভোটে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সংগঠন একটি জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন। এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। যদি ভূয়া ভোটারের কোন প্রতিকার আমরা না পাই, প্রয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বরণাপন্য হবো ও আইনের আশ্রয় নিবো। এই ভোটার দিয়ে আগামীতে নির্বাচন হলে আমরা সাধারণ মালিকরা মেনে নিবো না কখনোই।