না. গঞ্জ মহিলা পরিষদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে শহর কমিটির সংগঠকদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজন করে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে জেলার মহিলা পরিষদের চাষাড়াস্থ কার্যালয়ে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী সভাপতিত্ব করেন।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আনজুমান আরা আকসির, শহর সভাপতি সাহানারা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক শোভা সাহা। এরপরে সংগঠনের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র, জেন্ডার ধারণা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলার সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ, বাংলার নারী আন্দোলন ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইনসমূহ ও বাস্তব কাজের ধারা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসিনা পারভীন। পরিচালনা করেন জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রওনক রেহানা। অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে মতামত ব্যক্ত করেন সংগঠন সম্পাদক নীলা আহমেদ, অর্থ সম্পাদক কাওছার আক্তার পান্না, সাংস্কৃতিক সম্পাদক উম্মে লায়লা, সদস্য নুসরাত নূপুর প্রমূখ।
প্রশিক্ষণে বক্তারা বলেন- নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গনতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গড়ে উঠে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত ৫২ বছর ধরে সংগঠনটি বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনে কাজ করতে হলে প্রত্যেক সদস্যকে অবশ্যই ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র পাঠ করে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং বুকে ধারণ করতে হবে, অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। অন্যকে সংগঠন সম্পর্কে জানাতে হবে। বাংলার নারী আন্দোলনসহ সকল জাতীয় আন্দোলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে জেন্ডার সমতা, দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি, সম্পত্তিতে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে আজ পর্যন্ত আন্দোলন করে চলেছে। মহিলা পরিষদ এবার অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু এবং সাইবার ক্রাইম ও মাদক নিরোধ আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করার জোর দাবী জানাচ্ছে। হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খৃষ্টান সকল সম্প্রদায়ের এক ও অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে। বিবাহ ও তালাক সংক্রান্ত আইন, সম্পত্তি আইন সব সম্প্রদায়ের এক হওয়া জরুরী। এভাবেই সংগঠনটি চ্যালেন্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে চলেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পরে নারী- শিশুসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারীর প্রতি যাতে কোনো রকম সহিংস ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সরকারের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও ভূমিকা পালন করতে হবে।