শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Led05অর্থনীতি

না.গঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের এজিএম অনুষ্ঠিত

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নগরীর বাধন কমিউনিটি সেন্টারে চেম্বাররের ৩৬ ও ৩৭ তম এজিএম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুজ্জামান, সিনিয়র সহ সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল ও সহ-সভাপতি সোহেল আক্তার সোহান, প‌রিচালক জাকা‌রিয়া ওয়া‌হিদ, মাহাবুবুর রহমান স্বপন, আশিকুর রহমান, সে‌লিম হো‌সেন, সাইফুল ইসলাম মাসুমসহ অন্যান্য পরিচালকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সভায় সকল ব্যবসায়ীদের সর্বসম্মতিক্রমে (২০২২-২০২৩) এবং (২০২৩-২০২৪) সালের প্রতি‌বেদন উত্থাপন ও অ‌নু‌মোদন এবং (২০২৪-২০২৫) অর্থ বছ‌রের প্রস্তা‌বিত বা‌জেট উত্থাপন ও অনু‌মোদন করা‌নো হয়। সভার শুরুতে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমা‌র্সের সভাপতি লি‌খিত প্রতিবেদন পাঠ করেন। প‌রে ব্যবসায়ীদের সম্মতিতে এন‌সি‌সিআইয়ের ২০২৪-২০২৫ সনের নিরীক্ষক নিয়োগ ও পা‌রিশ্রমিক নির্ধারন করা হয়।

সভাপতি মাসুদুজ্জামান বলেন, সঠিক ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সদস্য নির্বাচিত করবেন। আমি যখন দায়িত্ব নেই তখন একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম যেখানে আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিল। তারা বলেছিল অনেকদিন পর এখানে একজন ভালো লোক দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু আমি বলেছিলাম কিছুদিন অপেক্ষা করেন, বিরোধিতা শুরু হয়ে যাবে। এবং সেই বিরোধিতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এই সংগঠন আপনার আমার সকলের। আমি যখন এখানে দায়িত্ব নিতে আসি তখন আমি জেনেশুনে এসেছিলাম যে, এই দায়িত্বের বাকি চার মাস। আমি চার মাসের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের সকলের ইচ্ছা ছিল একটি সঠিক নির্বাচন নারায়ণগঞ্জবাসীকে উপহার দেওয়া। কিন্তু আপনাদের কি এই চার মাসও সহ্য হলো না? এই চার মাসে আমি এত কি করে ফেললাম। যে আলোচনা বা সমালোচনার জায়গা সৃষ্টি হয়েছে আমি সেটাকে সাধুবাদ জানাই। তবে যে যাই করেন গঠনমূলকভাবেই করেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ কইরেন না। আমার এই সাদা শার্টে কালি মাখানোর জন্য এখানে আসেনি। আমি এই সংগঠনে থাকাকালীন অবস্থায় কোন জায়গায় একটি দুর্নীতি-অনিয়ম সহ্য করব না। আমি দায়িত্ব নেবার প্রথমেই দেখতে চেয়েছিলাম একাউন্ট জিনিসটা কিভাবে আছে। এই পরিষদের যারা দায়িত্ব আছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই তারা তাদের দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করেছেন। নারায়ণগঞ্জের চেম্বার অব কমার্সের যতটুকু টাকা আছে, এই ক্যাটাগরির একটি চেম্বার অব কমার্সের থেকে বেশি থাকার কথা ছিল। তবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে যাতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ না পরে তাই চাঁদা কম রাখা হয়। আপনার সংগঠন আপনার রক্ষা করবেন আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।

সিনিয়র সহ সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, আমরা ১০০০ জনকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কারো কারো অ্যাড্রেস চেঞ্জ হওয়ার কারণে অনেকের কাছে চিঠিটা যায়নি। কেউ যদি একটিভ মেম্বার না থাকে সে কিন্তু এই দাওয়াত পাবে না। এটা আমাদের নয় সকল ব্যবসায়িক সংগঠনে একই ধরনের নিয়ম। যাদের মেম্বার রিনিউ হয়নি, তাদের কাছে এ ধরনের কোন মেসেজ বা মেইল যাইনি, কোন দাওয়াত ও পায়নি। তবে এক্টিভ মেম্বারদের সবাইকে যে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য প্রমান আমাদের কাছে আছে। এ মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সাথে মেইল করেও জানানো হয়েছে। তবে এই ২০-২৫ দিনের মধ্যে যারা রিনিউ করা হয়েছে তারা কিন্তু চিঠি পায়নি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যারা মেম্বারশিপ রিনিউ করেছেন, আমরা সাথে সাথে তাকেও দাওয়াত দিয়ে দিয়েছি।

RSS
Follow by Email