না.গঞ্জে র্যাবের পৃথক অভিযান, ডাকাতসহ বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ দুই যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১। র্যাবের দাবি তারা মাদক কারবারি। অন্যদিকে একই দিনে এক আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ থানার গঙ্গানগর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় ৭২ বোতল ফেনসিডিল, ৯.৭ কেজি গাঁজা এবং ৯৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দু’জন মাদক কারবারিকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: মোঃ রাব্বি (৩০) ও আব্দুল ওয়াহেদ (১৮)। তারা দুজনেই রূপগঞ্জ থানার গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযানের সময় মোঃ জুয়েল (৩২) নামের অপর একজন মাদক কারবারি কৌশলে পালিয়ে যায়। সেও একই এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. সোহেল আহমেদ, বিজিওএম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় মাদক কেনাবেচা ও সরবরাহ করে আসছিল। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
একই দিনে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর আরেকটি পৃথক অভিযানে আড়াইহাজার থেকে এক আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ডাকাত সর্দার হলেন আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের ইউনুস ওরফে ইয়ানুস। সে মৃত আবুল বাশার ওরফে আবুল বাদশার ছেলে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ইউনুস এলাকায় একজন চিহ্নিত ডাকাত। ডাকাতির পাশাপাশি সে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক সেবন ও মাদক কেনাবেচার সাথে জড়িত। সে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ডাকাতদের নিয়ে একটি বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এই দল দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে থাকে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, মাদক ও হত্যাচেষ্টার মতো একাধিক মামলা রয়েছে। প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া এবং গুম-খুনের ভয় দেখানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার ভয়ে এলাকাবাসী ভীতসন্ত্রস্ত ছিল।
র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস দল ১৬ জুন সন্ধ্যায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউনুস ওরফে ইয়ানুসকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অবৈধ মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
