না.গঞ্জে যাত্রী সংকটে বাস-লঞ্চ চলাচল, রেলপথ পর্যবেক্ষণে প্রকৌশলী
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়িয়ে ১৩ ঘন্টা করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে আগামী চার দিনের জন্য সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বাস টার্মিনালে বেড়েছে ঢাকামুখী বাসের চাপ, টার্মিনালে নৌযান চলাচল আগের চাইতে বেড়েছে। কিন্তু যাত্রী সংকট নিয়েই বাস ও লঞ্চ চলাচল করছে।
নগরীর ১নং রেল গেইট এলাকার বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনন্দ, উৎসব, বন্ধন, বন্ধু, বিআরটিসিসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাস ভিড় করছে। যাত্রী নিতে কাউন্টারের সামনে বাসের লাইন জমেছে। কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে উঠছেন যাত্রীরা। বিভিন্ন পরিবহনের কর্মচারীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, কারফিউ শিথিলের জন্য বাসের চলাচল আগের চাইতে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। বন্ধন পরিবহনের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, অন্যান্য সময়ে ২০ থেকে ২৫ জন করে যাত্রী টার্মিনালের কাউন্টার থেকে উঠতো। আজ এ জায়গায় ২-৩ জন করে যাত্রী উঠতে দেখছি। সকাল থেকে বাস টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ কম।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে মতলব, মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর রুটে যাওয়ার ৩টি লঞ্চ অপেক্ষায় রয়েছে। লঞ্চের কর্মচারীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, সকাল থেকে নৌপথে যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। যাত্রী উঠাতে লঞ্চগুলো বেশি সময় নিচ্ছে। যাতে করে টার্মিনাল ছেড়ে যেতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ-মতলব রুটের এক লঞ্চের কর্মচারী মো. মানিক লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এক ট্রিপ দিয়েছিলাম। সে সময় তেমন যাত্রী ছিল না। এখনও টার্মিনালে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি। যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, লঞ্চের তেল খরচ উঠানোই মুশকিল হবে।
চাঁদপুর রুটের যাত্রী নাসরিন আক্তার লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এ মাসের শুরুতে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেরাতে এসেছিলাম। শহরে গন্ডগোল হলে স্বামীর বাড়িতে ফিরতে পারি নি। আজকে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছি। এখনও লঞ্চ ছাড়তে কিছু সময় লাগবে বলে কর্মচারীরা জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির পরিচালক আল মামুন লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে বুধবার ২৬ টি লঞ্চ পাঁচটি রুটে চলাচল করছে। যাত্রী চাপ অনেক কম বলে ১০ টি লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে মতলব, রামচন্দ্রপুর, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, সুরেশ্বর রুটে যাতায়াত চলছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে রেল পথে কোন ঝুঁকি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ে প্রকোশলী এসেছেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম। তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, রেলপথে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ আছে কি না তা দেখতে ঢাকা থেকে প্রকৌশলী এসেছিলেন। তিনি রেল ট্র্যাক, রেল গেইট পর্যবেক্ষণ করেছেন। কাল থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে কিনা তা বলতে পারছি না। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যখন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে যখন ট্রেন চলাচল নিরাপদ মনে করবেন তখনই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। আগামী কাল ট্রেন চলাচল শুরু হবে কিনা তা আজ বলতে পারছি না। ট্রেন চলাচলের নতুন সিডিউল নিয়ে এখনও কোন তথ্য পাই নি।